২০ হাজার মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে আলী আজম মুকুল এমপির উদ্যোগে ২টি ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে বোরহানউদ্দিনে

বোরহানউদ্দিন নিউজ ডেক্স :
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউপির উত্তর বাটামারা ৬নং ওয়ার্ডে প্রবেশ পথে ১৫০ ফুট দৈর্ঘের চন্দন বাড়িয়া খালের উপর একমাত্র কাঠের ব্রিজটি মোটরসাইল সহ ভেঙ্গে খালে পড়েছে।১১আগষ্ট এ ঘটনায় মোটরসাইকেল সহ ৩ আরোহি খালে পড়ে যায়।২০১৫ সালে পারাপারের সময় খালে পড়ে ইউছুব (৫০) মারা যায় ।সংস্কারের অভাব,বর্ষার পানিতে কাঠ ভিজে পচে যাওয়া.পেরেক থেকে কাঠ ছুটে যাওয়ায় এ নাজুক আবস্থা সৃষ্টি।ফলে ৫ও ৬নং ওয়াডের্র ২০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।তবে ভোলা -২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুল জনগনের কষ্ট দুর করার জন্য ওই স্থানসহ নওশাদ উল্যাহ মাস্টারের বাড়ীর সামনে অতি শীঘ্রই ব্রিজ হবে বলে জানান।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে তারা জানায়,বড়মানিকা ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে চন্দন বাড়িয়া খাল পেরিয়ে যাতায়াতের একমাত্র মাত্র ছিল সাকোঁ। ২০১৩ সালের মেঘনার প্লাবনে ওই সাঁকোটি নাজুক হয়ে পড়ে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল’র অর্থায়নে এবং বড় মানিকা ইউপির চেয়াম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন হায়দারের সহযোগীতায় ওই স্থানে একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করা হয় ।দীর্ঘদিন অতিবাহিত হবার পর বর্ষাসহ নানা কারনে ব্রিজটি ঝুকিপূর্ন হয়ে যায়। ১১আগষ্ট দুপুরে পারাপারের সময় জিয়াউদ্দিন (৪৫) সহ ৩ আরোহি মোটরসাইকেল নিয়ে খালে পড়ে যায় । স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করেন।পরে এমপির সহযোগিতায় ্ও নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা ঘটনা স্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে ওই দিনই ব্রিজটি মেরামত করেন। ২০১৫ সালে ওই সাকোঁ থেকে পড়ে ইউছুব নামক এক লোক মারা যায়।মাঝে মাঝে পারাপারের সময় খালে পড়ে অনেক লোক আহত হয়। ৬নং ওয়ার্ডের বজলুর রহমানের ছেলে নয়ন মাওলানা (৪৫),গনি মিয়ার ছেলে নাজিম(৩৮),ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ(৪০) জুলহাস (২৮) বলেন,একজনের মৃত্যূর পর সাকো ১৫০ মিটার দীর্ঘ কাঠের ব্রিজ হয়েছে। বর্তমানে কাঠের ব্রিজটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন হয়ে ২০হাজার মানুষের পারাপারের অনুপোযোগি হয়ে পড়ছে। উপজেলা থেকে দোকানীদের মালামাল এলাকায় মাথায় করে আনতে হয় মেঘনা ইলিশ শিকারী জেলে,ঢাকাগামী লঞ্চের যাত্রীরা এ পথে চলাচল করে। মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য নষ্ট হচ্ছে শুধু মাত্র এ ব্রীজটির কারণে,। স্কুল শিক্ষক আব্দুল হক,কলেজ শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হিমু,তানজিল,জোবায়ের জানান, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটাই তাই আমরা চাই এটি জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণ করা দরকার। বিবি কুলসুম,সাদিয়া বেগম,রেহানা,আমেনা,তাসফিয়া জানান, এলাকায় কোন মানুষ হঠাৎ অসুস্থ্য কিংবা মহিলাদের ডেলিভারি জণিত কারণে অসুস্থ্য হলেও কোন এ্যাম্বুলেন্স কিংবা মাইক্রো প্রবেশ করতে পারছেনা শুধু মাত্র এ ব্রীজটির কারণে।
৬নং ওয়ার্র্ডের ইউপি মেম্বার মো: রফিকুল ইসলাম জানান,চন্দন বাড়িয়া খালের ব্রিজটি বর্তমানে আমাদের গলার কাটা।হটাৎ কোন লোক অসুস্থ্য হয়ে পড়লে দুরাবস্তার শেষ নাই।
বড় মানিকা ইউপির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার জানান, দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজটি করুন অবস্থা।মাঝে মাঝে পরিষদের অর্থায়নে সংস্কার করা হয়।মেঘনার উপকূলবর্তী ইউনিয়ন উল্লেখ করে,কয়েকটি জরাজীর্ণ রাস্তাসহ ব্রিজটি নির্মাণের দাবী জানান।
ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল বলেন,২০১৩ সালের জলোচ্ছ্বাসে বড় মানিকা ইউনিয়ন বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধু ওটাই নয় নওশাদ উল্যাহ মাষ্টারের বাড়ীর দরজার ব্রিজটি ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।আমি এতদিন পর্যন্ত এগুলো সংস্কার করে আসছি। টপোগ্রাফি ও সার্ভে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।খুব শীঘ্রই এ ব্রিজের উপর দিয়ে মানুষ হাটাচলা করতে পারবে ইনশল্লাহ