বোরহানউদ্দিনে আগুনে পুড়ে ২০টি দোকান ভস্মীভূত। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করলেন ইউএনও

আগুনে ভস্মীভূত শেল্টার বাজার এর চিত্র

বিনিউজ প্রতিবেদক ঃ
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২০টি দোকান ঘর আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।চায়ের দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত এমন দাবী স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের। বুধবার দিবাগত রাতে (মঙ্গলবার রাত ১২.৩০) মেঘনা নদীর উপকূলবর্তী শেল্টার বাজারে এ দূর্ঘটনা ঘটে। এতে দেড় কোটি টাকা ক্ষয় –ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার। আজ বুধবার সকালে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজী ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। তিনি জানান,ক্ষতিগ্রস্থদের পুনবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

বোরহানউদ্দিন ফায়ার সার্ভিস অফিসের ষ্টেশন অফিসার খোরশেদ আলম স্থানীয় ইউপি মেম্বার রফিকুল ইসলামের বরাত দিয়ে জানান,স্থানীয় বড় মানিকা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় শেল্টার বাজারটি অবস্থিত।মাছ নির্ভর বড় এই বাজারের কামালের হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত। কামাল তার দোকানের চুলার উপর রাতে লাকড়ি শুকাতে দেয়। এতে প্রথমে লাকড়িতে আগুন ধরে।পরে পাশ্ববর্তী দোকানের গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিষ্ফোরিত হয়ে মুহুর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পরে ২০টি দোকান ভস্মীভূত হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল প্রায় ঘন্টার বেশী চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। আগুনে ওই বাজারের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। দূ্র্ঘটনার সংবাদ শুনে রাতেই বোরহানউদ্দিন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট ইউপির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার,স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ মু,এনামূল হক ওই স্থানে ছুটে যান। জসিম উদ্দিন হায়দার জানান,বাজারের ১৫টি বড় দোকান এবং ছোট ১০ মিলিয়ে মোট ২৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এতে দেড় কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।

ওই বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বেলায়েত পিটার,মোস্তাফিজ মাতাব্বর, কাদের কাজী,অজিউল্যাহ, নুরন্নবী,কামাল ,জুয়েল ,ফারুক খলিফা,রুবেল,রুহুল আমিন,মতিন খলিফা,বাবুল ডাক্তার,মুসলিম হাজারী জানান,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ঋন নিয়ে আমরা ব্যবসা করছি।আগুনে পুড়ে আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে।ছেলে মেয়ে নিয়ে এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের ভাষায় বলা যায় যদি ঐ এলকার প্রবেশ মুখে খালের উপরের ব্রিজটি যদি ভালো থাকত তাহলে যতক্ষণ ফায়াস সার্ভিস এসে ব্রিজের কাছে পৌঁছেছিল ততক্ষণে সর্বোচ্চ ৪-৫ টি দোকান-পাটের ক্ষয়ক্ষতি হতো এবং পুরো বাজারে এত ক্ষয়-ক্ষতি হতো না। তাই তাদের দাবী এর চেয়ে আরও বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই যেন একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়া হয়।