প্রসঙ্গ হোটেল আল মদিনা  ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

 

বিনিউজ ডেস্ক

মুরগীর গ্রিল কার না পছন্দের ?পরিবারের ছোট থেকে বড় সবার পছন্দের খাবার এটি।প্রত্যাহিক জীবনে কোন বিশেষ মেহমান এর সাথে বাজারে দেখা হলে আপ্যায়নের তালিকায় অধিকাংশ মানুষের  এটা পছন্দের ।বিশেষ করে টিনএজদের কাছে এর চাহিদা আকাশচুম্বী। বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুঞ্জের হাট বাজারের কয়েকটি হোটেলের গ্রিল  এ সময় সবার কাছে গুনে মানে আর্কষর্ণীয় ছিল। সন্ধ্যার পর উপজেলা সদর থেকে খাদ্য রসিকগন হাজির হতেন ওখানে। বেশ কদরও ছিল হোটেল আল মদিনার।যেমন এখনও কদর আছে ঘুইগাংগার হাটের মিষ্টির। সময়ের ব্যবধানে উপজেলার হোটেলগুলোর আজ নাম জ্বস হারিয়ে যাচ্ছে।অবশ্য এর জন্য একদিকে যেমন হোটেল মালিকদের হঠাৎ অবৈধভাবে মুনাফা অর্জনের ইচ্ছা দায়ী ঠিক ততটা দায়ী সংশ্লিষ্ট মনিটরিংকারী সংস্থার। দেশের প্রতিটি জেলায় জেলায় ভোক্তা অধিকার  সংরক্ষণ অধিদপ্তর থাকলে ও এদের কার্যক্রম কতটা দৃশ্যমান এ প্রশ্ন এখন অনেকেরই।বড় বড় বাজার ,দোকান কিংবা হোটেলগুলোতে তাদের পরিচালিত অভিযান তেমন একটা দেখা যায় না এমন অভিযোগ সাধারণ মানুষের।তাহলে সাধারণ জনগন কী ধরে নিবে আমরা হোটেলগুলোতে যা খাচ্ছি তা সবই নিরাপদ?এ প্রশ্ন যে কতটা অন্তসার শূন্য তা ২০ মার্চ দেখিয়ে দিলেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী  কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী।কাচিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জের হাট বাজারে আজ সকালে ভোগ্যপণ্যের অনিয়ন্ত্রিত দাম মনিটরিং করার জন্য তিনি ওই বাজারে যান।এ সময় তিনি কুঞ্জের হাট বাজারের ‘‘ হোটেল আল মদিনায় যান।ফ্রি খুলে তিনি দেখতে পান তাতে বিগত দিনের পোড়া গ্রিল রয়েছে যা খাবার অযোগ্য।এ ঘটনায় তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ওই হোটেলের মালিক কে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আমাদের প্রশ্ন,নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর না হলে আজ বিকেলেই হোটেল কর্তৃপক্ষ আমাদের মতো আদমকে ওই নষ্ট গ্রিলগুলো খাওয়াতেন।আমরাও মনের অজান্তে ওইগুলো খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতাম।তাহলে ভোক্তা হিসাবে আমাদের জীবন কী ওদের বানিজ্যিক পণ্যে পরিণত হলো না? এই প্রশ্নের সদুত্তর কে দিবে? বিষয়গুলো যদি দেখভাল করার জন্য লোক না আসে তাহলে জনগনের টাকায় ওই তথাকথিত সংস্থা পুষে কী লাভ?জানি এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া মুশকিল।প্রতিকারের ও আশা ছেড়ে দেওয়া উচিত। কারণ আম জনতা হিসাবে আমরা সর্বকালেই মাইনকার চিপায় থাকি!তবে বিশ্বাস রাখি তোমাদের মতো অসাধু ব্যবসায়ীদের বিচার প্রকৃতিই করবে। প্রকৃতির আদালতে বাদী কিংবা স্বাক্ষীর প্রয়োজন হয় না।