ওদেরকে ঘরে ফেরাতে গলদঘর্ম প্রশাসন

 

আহমেদ মুনির  ঃ

ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি।আক্রান্তরের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।  আতঙ্কিত  দেশবাসী।  আতঙ্কের ব্যারোমিটার উধ্বগামী হচ্ছে এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমতবস্থায় সামাজিক দুরত্ব,হোম কোয়াইন্টাইন কিংবা সরকারি নির্দেশনা কোন কিছুই তোয়াক্কা করছে না মানুষ। অযথা ঘুরছে বাজারে। চায়ের দোকানে। মফস্খল এলাকায় এই চিত্র বেশ ভয়াবহ। প্রতিদিনই ঢাকা,চট্রগ্রাম,নারায়নগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ঢুকছে ভোলায়।এদেরকে সামলাতে প্রশাসন গলদগর্ম অবস্থায়।

কতিপয় অসাধু পরিবহন শ্রমিক অতিরিক্ত টাকার লোভে নানা কায়দায় এসব যাত্রী পারাপার করছে। এ্যাম্ভুলেন্স এ অসুস্থ্য সেজে কেউ পার হচ্ছে।কেউ পার হচ্ছে যাত্রীবাহি ট্রলার চেপে। কেউ বা আবার মালবাহী ট্রাকে চড়ে ট্রিপল দিয়ে ঢেকে যার যার গন্তব্যে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এ রকম কয়েকটি ঘটনা ধরা পরেছে। ওই সমস্ত এলাকা থেকে নতুন করে ভোলায় আসায় স্থানীয় লোকজনকে বিপদের মধ্যে ফেলছে।

সকাল –সন্ধ্যায় এরা বিচরণ করছে বাজারে বাজারে। কিছুতেই ঘরে ফেরানো যাচ্ছে না ওদেরকে। প্রশাসন,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী এদের নিয়ন্ত্রণে কুল-কিনারা পাচ্ছে না। ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল,পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন বাজারের বাজারের গিয়ে মাইকিং করছেন।অনুরোধ করছেন ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে ও । হোম কোয়ারেইন্টানে অবস্থানের জন্য প্রতিনিয়ত বাজারগুলো মনিটরিং করছেন নির্বাহী কর্মকর্তা মো: বশির গাজী,। একদিকে দাওয়া অন্যদিকে সরব উপস্থিতি। বিনা প্রয়োজনে অনেকে বাজারে অবস্থান করছেন।ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করছেন। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিগন মাইকিং করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কষ্টদায়ক হচ্ছে।

এ অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে জেলাবাসী।অনেকে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।  প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে জনগনকে ঘরে অবস্থানের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন,নৌ-কন্টিনজেন্ট ও পুলিশ বাহিনীর যৌথ অভিযানে জরিমানা করা হয় অনেক। শুধুমাত্র উপজেলা প্রশাসনই প্রতিদিনই বাজারে বাজারে ঘুরছেন।সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করায় জরিমানা করেন ।এর পরও থামানো মুশকিল।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার শান্তির হাট বাজার,মনিরাম বাজার,বোরহানগঞ্জ বাজার,কুঞ্জের হাট বাজারে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।অবস্থা দেখে মনে হয় এদের কাছে ঈদ ঈদ ভাব। এ সময় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান খুলে বিকিকিনি করায় খোরশেদ আলম,কালিমুল্যাহ,ইব্রাহিম, মনিরুল ইসলাম,রবিউল ইসলাম ও শাহে আলম এর কাছ থেকে ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,নৌ কন্টিনেজেন্ট এর সহযোগিতায় বোরহানউদ্দিন পৌরবাজারে সামাজিক দুরত্ব রক্ষায় কাজ করতে দেখা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী জানান,বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন উপায়ে অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।তিনি জনগনকে বিনা প্রয়োজনে বাজারে না আসা সহ সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানান।

 

01715951600