করোনা ঝুঁকিতে পল্লী চিকিৎসকরা

জেএম.মমিন,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও মরণঘাতী রোগ করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় অত্যান্ত ঝুঁকির মধ্যে আছেন পল্লী চিকিৎসক ও ঔষধের ফার্মেসীর দোকানদাররা ৷ তাদের কাছে চিকিৎসা নিতে প্রতিদিন আসে শত শত লোক ৷
আমরা যারা সাধারণত গ্রামে বাস করি তাদের জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি কিংবা কাশিসহ সাধারণ রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে অথবা বিভিন্ন রোগের ঔষধ কিনতে গ্রাম্য ডাক্তার তথা পল্লী চিকিৎসকদের সরণাপন্ন হই সবার আগে ৷ তাই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তারা রয়েছে বেশি ঝুঁকির মধ্যে ৷ গ্রামের মানুষ গুলো একটু বেশি অসচেতন হওয়াই এই ঝুঁকির অন্যতম কারন বলছেন অনেকেই ৷
তাদের মধ্যে বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের দরুন বাজারে বিগত ৩৫ বছর ধরে গ্রামের লোকদের চিকিৎসা দিয়ে আসা পল্লী চিকৎসক প্রাণকৃষ্ণ তালুকদার বলেন, গ্রামের অনেকই জানেননা করোনা রোগ কি? এর থেকে বাঁচতে কি করণীয়? প্রতিদিনই অনেকে জ্বর, ঠান্ডা কাশি সহ বিভিন্ন রোগের সেবা নিতে আমাদের কাছে আসে ৷ আমরা জানিনা যে, কার মধ্য এই রোগ বিদ্যমান ৷ তাই কোন সময় কার মধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে তা জানিনা ৷ এখন আমাদের জীবন নিয়ে আমরা সংকিত ৷
একই বাজারের, ফার্মেসীর দোকানদার মিজান পাটওয়ারী জানান, গ্রামের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা ও বিভিন্ন রোগের ঔষধ বিক্রিই আমাদের প্রধান কাজ ৷ গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই প্রতিদিন বিভিন্ন রোগের ঔষধ নিতে আমাদের কাছে আসে ৷ এখানকার মানুষ করোনা সম্পর্কে খুবই অসচেতন ৷
ছিদ্দিক ডাক্তার নামে আরেক পল্লী চিকিৎসক জানান, গ্রামের অধিকাংশ মানুষ অশিক্ষত হওয়ায় করোনা সম্পর্কে অসেচেতন ৷ তাদেরকে কোনো ভাবেই বোঝানো সম্ভব হচ্ছেনা ৷
অন্যদিকে, চিকিৎসা নিতে আসা মানুষদের ধরা ছোয়া ও টাকা পয়সা লেনদেনের সময় মুখে মাস্ক কিংবা হাতে হ্যান্ড গ্লপ্স পরিধানের নিয়ম থাকলেও তা করছেন না পল্লী অঞ্চলের অনেক চিকিৎসক ৷
এমন পরিস্থিতে রোগী বা চিকিৎসক কার থেকে কখন ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস তা বলা দুষ্কর ৷ গ্রামে করোনার ভয়াবহ রুপ ধারন করতে পারে এভাবেই ৷ তাই পল্লী চিকিৎসকদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে এখনই ৷