বোরহানউদ্দিনে ১টি বাজারসহ ৭ বাড়ি লকডাউনে

মনিরুজ্জামান
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বোরহানগঞ্জ বাজার সহ ৭টি বাড়ি শুক্রবার লক ডাউন করেছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রন ও প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ বশির গাজী। ওই এলকার কেউ এখন বের হতে পারবেন না। ভিতরে কেউ ঢুকতেও পারবেন না।

বৃহস্পতিবার রাতে জেলায় এই প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগি সনাক্ত হয় বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বোরহানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন গ্যাস ফিল্ড রোডের পন্ডিত বাড়িতে।অন্যটি হয় মহনপুরা উপজেলার সাকুচিয়া ইউনিয়নে। এ ঘটনার পর উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এ সিদ্ধান গ্রহণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার লকডাউন এলকায় করোনা আক্রান্ত রোগি সনাক্ত হওয়ায় সংক্রামক রাগ প্রতিরোধ ,নিয়ন্ত্রন ও নির্মূল আইন ২০১৮ এর ৬১নং আইনের—ধারা মোতাবেক জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে ওই রোগির বাসস্থান পন্ডিতবাড়ি সহ পাশ্ববর্তী দত্তবাড়ি,কার্তিক বাবুর বাড়ি,দয়ারামের বাড়ি,শাহজাদা পাটোওয়ারির কলোনি,হরিপদ মাষ্টারের বাড়ি,বোরহানগঞ্জ বাজার এবং পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কিত্তনিয়া বাড়ি,হাওলাদার বাড়ি,৫নং ওয়ার্ডের ভাওয়াল বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়।লকডাউনকৃত এলাকায় গণপরিবহন ও জনসমাগম বন্ধ থাকবে।তবে জরুরী পরিসেবায়,চিকিৎসা সেবা,কৃষিপণ্য,কৃষিকাজে নিয়োজিত সেবা,খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ ইত্যাদি এর আওতার বাইরে থাকবে।

এই কর্মকর্তা জানান,লকডাউনকৃত বাড়ির বাইরে লোকজন পাহাড়ায় থাকবে।বাড়ির লোকজনের প্রয়োজনীয় পন্য তাদের চাহিদা মোতাবেক ওরা সরবরাহ করবে।

উপজেলা খাদ্য স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার তপতী চৌধুরী বলেন, আইইডিসিআর এর নির্দেশনা মোতাবেক লকডাউনকৃত এলাকার যে সব লোকদের মধ্যে কেবলমাত্র করোনা উপসর্গ বিদ্যামান কেবলমাত্র তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। তিনি আরও জানান কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তাদের প্রস্তুতি রয়েছে।