কষ্টে যাচ্ছে ওদের দিন !

মনিরুজ্জামান ঃ
মিলন।বয়স ২৫ কিংবা ২৮। পেশায় মুচি। কষ্ট ওদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। করোনা যেন কষ্টের ব্যারোমিটারের পারদটাকে একটু লম্বা করে দিয়েছে। টানা বর্ষা হয়েছে নতুন অতিথি। প্রকৃতি মনে হয় ওদেরকে দিয়েই দারিদ্র্যের ভারসাম্য ঠিক রাখেন।
যানজটময় হাইস্কুল ব্রিজ। পূর্ব পাশে ছোট একটু টেবিল। পাশে দাড়ানো মিলন। জানতে চাইলাম কেমন কাটছে দিন? বললো আমাদের থাকা নস থাকা একই রকম।কেটে গেলেও রক্ত বের হয় না।কথা বার্তার এক পর্যায়ে জানালো আগে ১২/১৩ জন একই বাজারে থাকত।বসতো পোস্ট অফিসের সামনে।মোটামুটি কাজ কাম ছিল।চলে যেত তাদের দিন। করোনা পরিস্থিতিতে বাজার প্রায় বন্ধ।লোকজন কম আসছে।কাজ ও কমে যাচ্ছে।তাই নিরুপায় হয়ে ব্রিজের উপর বসা।এখানে ও তেমন কাস্টমার নেই বলে জানালেন।সংসার চলছে কেমনে জানতে চাইলে জানান,একবার ত্রাণ পেয়েছি।১০ কেজি চাল দিয়ে আর কতদিন চলে।করোনা পরিস্থিতি সমাজের অনয়দের মতো বেকার করেছে এখানকার মুচি সম্প্রদায়ের লোকজনকে।ওদের একটু স্বস্তির জন্য সরকারি সহযোগিতার পাশা পাশি এই আপদকালীন সময়ে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার প্রয়োজন।