যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীর চুল কেটে দিললেন স্বামী শিক্ষক সাইফুল।

স্টাফ রিপোর্টার

শ্বশুর বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীর চুল কেটে দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামে এক মাদরাসা শিক্ষক। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হেলিপ্যাড রোড এলাকায় গত ১৯ ডিসেম্বর এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘদী ইউনিয়নের কমরউদ্দিন এলাকার মৌলভীবাড়ির তৌয়বুর রহমানের ছেলে। সে বোরহানউদ্দিন দারুস সুন্নাত মডেল একাডেমির সহকারী শিক্ষক।
এ ঘটনায় স্ত্রী খাদিজা বেগম বোরহানউদ্দিন থানায় বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী সহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওইদিই তার শ্বশুর তৈয়বুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে।
দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের লেজপাতা গ্রামের খাদিজার চাচা মো. খায়ের জানান, ছোট বেলায় খাদিজার বাবা মারা যাওয়ায় তারাই তাকে পড়াশুনা ও লালন পালন করেছেন।
মামলার এজাহার ও বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে খাদিজার সঙ্গে বিয়ে হয় সাইফুল ইসলামের। বিয়ের পর তারা বোরহানউদ্দিন পৌরসভার পূর্বপাশে ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। বিয়ের আগে খাদিজা একটি মহিলা মাদরাসায় সহকারী শিক্ষকের চাকরি করতেন। স্বামী সাইফুল ইসলামের নির্যাতন ও চাপে চাকরি ছেড়ে দেন খাদিজা।
তিনি আরও জানানা, সাইফুল ইসলাম এর আগেও একটি বিয়ে করে। তার প্রথম স্ত্রী মারা যায়। বিষয়টি গোপন রেখে সে খাদিজাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে যৌতুক সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সে খাদিজার উপর নির্যাতন চালাত। ঘটনার দিন সে খাদিজাকে তার বারার বাড়ি থেকে ৩ লাখ টাকা এনে দিতে বলেন। অপরাগতা প্রকাশ করলে সাইফুল তাকে নির্যাতন করে রেজার দিয়ে তার মাথার চুল কেটে পুড়িয়ে ফেলে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। পরে নির্যাতন সইতে না পেয়ে ভয়ে খাদিজা ওই বাড়ি থেকে ওইদিনই বিকেলে পালিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে।
তবে সাইফুল ইসলাম এর সাথে যোগা যোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মোঃ মাহাফুজুর রহমান বলেন, পুড়িয়ে ফেলা চুল জব্দ করা হয়েছে।যৌতুকের বিষয়টি নিয়ে সমস্যা আছে বলে জানান।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মাজহারুল আমিন বিপিএম জানান, এ বিষয়ে গৃহবধূ খাদিজা বেগম তার স্বামী সাইফুল ইসলাম, শ্বশুর তৌয়বুর রহমান, শাশুড়ি ও দেবরকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা মামলার দুই নম্বর আসামি তৌয়বুর রহমানকে গ্রেফতার করেছি। প্রধান আসামি সাইফুল ইসলামসহ বাকিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।