বোরহানউদ্দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই।

বোরহানউদ্দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই।

মনিরুজ্জামান, ভোলাঃ

ভোলার বোরহানউদ্দিনে করোনাআক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। মাস্ক ব্যবহারে অনিহা,সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও সচেতনতার অভাবকেই এর কারণ বলছেন প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আক্রান্তের দিক থেকে জেলায় দ্বিতীয় বোরহানউদ্দিন উপজেলা। রেপিড টেষ্টে শনিবার ৩৬ জনে ১৬ এবং রবিবার ৩৩ জনে ১৩ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। গড়ে আক্রান্তের হার ৪২। পিসিআর এর হিসেব ধরলে এর পরিমান ৫০ এর বেশী হবে বলে ধারণা করছেন ডাক্তারগন। তাদের মতে, জ্বর, সর্দি সহ সম্ভাব্য করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের টেস্ট করানো যাচ্ছে না। পরে করবেন বলে চলে যাচ্ছেন এমন বক্তব্য তাদের।
এদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ( লকডাউন)বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন রয়েছে বেশ কঠোর অবস্থানে। রবি,শনি ও শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো সাইফুর রহমান ৪৭ টি অভিযানে ৫৫ জনকে বিভিন্ন পরিমাণে অর্থদণ্ড করেন। প্রশাসনের উদ্যোগে করেন মাস্ক বিতরণ।
রবিবার সকালে বোরহানউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে গিয়ে আগন্তকদের বেশ উদাসীন ভাব লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় অনেককে মাস্ক ছাড়া দেখা গেছে।হাসপাতালে রান্নাঘরে ২ বাবুর্চি ও ডটর্স কর্নারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মাস্ক বিহীন পাওয়া যায়। বাবুর্চি দুজন জানান গরমের কারণে তারা মাক্স ব্যবহার করছেন না। আবার অনেককে নাক কিংবা থুতনির নিচে মাস্ক ঝুলিয়ে রাখতে দেখা গেছে।
করনো টিকা নিতে আসা মিঠু রানী দে,ফাতেমা বেগম কে মাস্ক বিহীন ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। মাস্ক কেন ব্যরহার করছেন না জিজ্ঞেস করতেই হাতের মুঠোয় ভাজ করা মাস্ক দেখিয়ে বলেন গরম লাগছে।তাই পরছিনা।
বর্হিবিভাগে সেবা নিতে আসা হাফসা বেগমকে হাসপাতালে আসার কারণ জানতে চাইলে বলেন,মুরগির জন্য টেবলেট নিলাম।
বর্হি বিভাগের দায়িত্বশীল ডাক্তার মশিউর রহমান সাদী বলেন,গড়ে প্রতিদিন এখানে ২০০-২৫০ জন রোগী আসে।যাদের মধ্যে অধিকাংশই গ্যাস্টিক আর ভিটামিন ট্যাবলেট নিতে আসেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এই সংকটময় পরিস্থিতিতে এদেরকে নিভৃত করবে কে? এ কর্মকর্তা আরো জানান,২৪ জুলাই ৩৬ জনে ১৬ জন এবং রবিবার ৩৩ জনে ১৩ জন রেপিড টেস্টে পজিটিভ আসে। যাতে গড়ে আক্রান্তের হার ৪২ এর অধিক। পিসিআর ল্যাবের হিসাব ধরলে এর পরিমান আরো বেশী।আক্রান্তের দিক থেকে জেলার পর বোরহানউদ্দিন উপজেলার দ্বিতীয়। সম্ভাব্য উপসর্গ নিয়ে আসা অনেককে আবার টেস্ট করানো যাচ্ছে না।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোঃ সাজ্জাদ বলেন, নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বহিঃবিভাগে না আসা এবং সচেন হওয়ার জন্য জন্য তিনি এলাকাবাসীকে আহ্বান জানান।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তপতী চৌধুরী বলেন,প্রতি কর্মদিবসে গড়ে ২ শত জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।তিনি আরও বলেন,সরকারি নির্দেশনা পালন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান বলেন, বোরহানউদ্দিনে করোনারোগী বেড়ে যাচ্ছে।সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রতিদিন কঠোরভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে।তিনি সকলকে বিনা প্রয়োজনে বাহির ঘর থেকে বাহির না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য কারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।

০১৭১৫৯৫১৬০০