বোরহানউদ্দিনে খুলছে ২৩৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ দেড় বছর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।কবে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান? এ প্রশ্ন ছিল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর)।
সারাদেশের ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ন্যায় ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ১ টি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ৪ টি কলেজ, ৩৯ টি মাদ্রাসা, ২৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৮ টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৫৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ২৩৪ টি প্রতিষ্ঠান খোলা হবে ৷ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ ঘোষনার পর প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন প্রতিষ্ঠান সমূহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ কাজে কষ্টের মাঝে বইছেআনন্দ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার খবরবে শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও স্বস্তি ফিরে এসেছে ৷

সরেজমিন পরিদর্শন কালে দেখা যায়,প্রতিষ্ঠানগুলো ধুয়ে-মুছে ঝকঝকে করছে সংশ্লিষ্টরা। দরুন বাজার মোজাম্মেল হক চৌধুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন চৌধুরি জানান, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত হওয়ার আশঙ্কা করছি ৷বোরহানউদ্দিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, বোরহান উদ্দিন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ আবু নোমান, বোরহানউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন নাহার,খাগকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘ অলস সময় পার করার পর অনেকদিন পর বিদ্যালয় খুলবে, এটা সত্যি আনন্দের। তবে উপস্থিতির হার কেমন হবে একটা দেখার বিষয়। তাদের আশঙ্কা দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থী ঝরে পড়তে পারে।
বাথানবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, স্কুল খোলার খবরে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে ৷ প্রায় দেড় বছর ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার প্রতি অনেকে অমনোযোগী হবে ৷ তাদেরকে মনোযোগী করে তুলতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হবে ৷
আব্দুল জব্বার কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মোঃ মিলন জানান, প্রতিষ্ঠান খুলছে তাই আমরা খুব খুশি ৷ অনেকদিন পর সকলে একসাথে বসে ক্লাশ করার সুযোগ পেয়েছি ৷
বোরহানউদ্দিন কামিল মাদ্রাসা একাদশ শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ আব্বাছ বলেন, মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় আমরা শিক্ষা থেকে অনেক দূরে ছিলাম ৷ এখন মাদ্রাসা খোলায় আমাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে ৷
গরীব মাঝি এরব দাখিল মাদ্রাসার ১০ শ্রেণির ছাত্র হাসিবুর রহমান জানায়, প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে ৷ আমরা যাতে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারি তাই ক্লাশের প্রতি মনোযোগী হতে হবে ৷
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, সরকারি সিদ্ধান্তের সঙ্গতি রেখে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন। আশাকরছি আস্তে আস্তে সব কিছু স্বাভাবিক হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুর রহমান বলেন, সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে ৷