উৎপাদন বাড়াতে আমন রোপণে ঝুঁকছে বোরহানউদ্দিনের কৃষকরা

মনিরুজ্জামান ঃ
বৈষ্ণিক পরিবর্তন,প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উৎপাদন বৃদ্ধি এবং চালের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধিরোধে ভোলার বোরহানউদ্দিনের চাষিগন আমন রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন । আউশ মৌসুমে ধানের তুলনামূলক বেশি দাম পাওয়া, পর্যাপ্ত সার,ঔষধ মজুত থাকায় কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়ে ঝুঁকছে আমন আবাদে। অল্প জমিতে বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদনের জন্য কৃষি বিভাগের পরামর্শে দ্বীপজেলায় পরিবেশসহিষ্ণু উ”চফলনশীল শস্যের জাত গ্রহণ করছেন এমন বক্তব্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষকের ।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,চলতি বছরে আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে উপশী এবং ২ হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কৃষকদের মতে, এর মাত্রা আরো বেশি । ২০২১ সালে যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৫ শত হেক্টর । চলতি আমন মৌসুমে হেকক্টর প্রতি ৫টনের অধিক ধরে প্রায় দেড় লাখ টন ধান উৎপাদনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
সরেজমিনে বড় মানিকা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ব্লকের কৃষক মালেক, এছহাক আলী ও রেশাদ আলী জানান,তাদের কাছে জনপ্রিয় জাত হলো ব্রিধান-৫২ এবং বিআর ২২। ফলন বেশি,চাল লম্বা ও মোটা।সার ও কীটনাশক কম লাগে। তারা যথাক্রমে ৩,২,১ একর জমিতে ধান আবাদ করবেন। এছাড়া ব্রি ধান ৫০,৭৩,৭৫, ৭৬,৭৮,৮৯,৯৩,৯৫ বিনা ধান-১৭, ২০ এবং স্থানীয় কার্তিক সাইল, মধুমালতি, সাদা মোটা, সাদা চিকন, রাজাসাইল,কাজল সাইল,কালিজিরা ধানের চাষ হবে বলে জানান তারা
কুতুবা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের চাষি অহিদ সর্দ্দার জানান,তিনি ৩ একর, মোতাহার আড়াই একর ও জলিল দেড় একর জমিতে চাষ করেন।যা বিগত বছরের তুলনায় বেশি । বড় মানিকা বাটামারা গ্রামের কৃষাণি সুমাইয়া বেগম বলেন, ঘরে চাল আর লাকড়ি থাকলে কোন চিন্তা থাকে না। তিনি দেড় একর জমিতে আমন আবাদ শুরু করছেন। তারা আমন রোপনের কাজ পুরোদমে শুরু করেছেন ।

উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার ফিরোজ আলম,উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান রনি,খায়রুল আলম মুন্সি জানান,তাদের ব্লকগুলো আমন রোপনে ব্যস্ত কৃষকরা। ব্রি-৫২ ধানটি জলসহিষ্ঞু ওবিআর-২২ আলোক সংবেদনশীল, ফলন ভালো বিধায় তারা কৃষকদেরকে এটা চাষে পরামর্শ দিয়েছেন। এ দুটোর হেক্টর প্রতি উৎপাদন ৫টনের বেশি বলে জানান।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এইচএম শামীম জানান, বৈষ্ণিক পরিস্থিতি সামনে রেখে আমাদেরকে উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই । তাই স্থানীয় জাত পরিহার করে, নতুন নতুন আধুনিক জাত নির্বাচন করতে হবে।উৎপাদনকে নিরাপদ করতে আধুনিক চাষাবাদেও দিকে এগুতে হবে\
ছবিঃ আমন রোপণে ব্যস্ত উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের কৃষকরা।