দুধে ডিটারজেন্ট: ঢাবির ফার্মেসি অনুষদের প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট

বাজারের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া প্রাণ, মিল্কভিটা, আড়ংসহ নামি-দামি সাতটি ব্রান্ডের পাস্তুরিত দুধে ডিটারজেন্ট, অ্যান্টিবায়োটিক, ফরমালিনসহ মানবদেহের ক্ষতিকারক বিভিন্ন উপাদান পাওয়া গেছে মর্মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ এবং বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের দেয়া প্রতিবেদনটি চেয়েছে হাইকোর্ট।

১৪টি ব্রান্ডের দুধে কোনো ক্ষতিকারক উপাদান নেই মর্মে মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই’র প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর রবিবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত আগামী ৭ জুলাই এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।

পাস্তুরিত দুধ নিয়ে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী তানভরি আহমেদ বলেন, ‘বিএসটিআই এর প্রতিবেদন দাখিলের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের করা এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি হাইকোর্ট চেয়েছেন। বিএসটিআই এর আইনজীবী ব্যারিস্টার সর্দার এম আর হাসানকে ওই প্রতিবেদন সংগ্রহ করে দাখিল করতে বলা হয়েছে।’

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ এবং বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের কয়েকজন শিক্ষক সম্প্রতি বাজারে বেশি বিক্রি হওয়া কিছু খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলোর গুণগত মান পরীক্ষা করেন।

গত ২৫ জুন এক সংবাদ সম্মেলন করে পরীক্ষার ফল তুলে ধরেন বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাস্তুরিত দুধগুলোর মধ্য থেকে প্রচুর বিক্রি হয় এমন বিভিন্ন নামের সাতটি নমুনা এবং অপাস্তুরিত অর্থাৎ খোলা দুধের তিনটি নমুনা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই ১০টি নমুনা বিএসটিআই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী পরীক্ষা করা হয়। পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার কোনোটিতেই কাঙ্ক্ষিত মাত্রার ‘সলিড নট ফ্যাট’ পাওয়া যায়নি।

এই সাতটি নমুনার মধ্যে ছিল- মিল্কভিটা, আড়ং, প্রাণ, ফার্ম ফ্রেশ, ইগলু, ইগলু চকোলেট ও ইগলু ম্যাংগো। বিএসটিআই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী দুধে ‘ফ্যাট ইন মিল্ক’ ৩.৫ শতাংশ থাকার কথা থাকলেও এগুলো ছিল ৩.৬-৩.৬১ শতাংশ পর্যন্ত।

সবচেয়ে উদ্বেগের হলো- দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি। গবেষণায় প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার সবই মানব চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক লেভোফ্লক্সাসিন,