চরফ্যাশনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ১০ রোগি সনাক্ত

 

স্টাফ রিপোর্টার ঃ

রাজধানী পেরিয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পরছে এডিস মশা নাশাক ডেঙ্গু জর ৷ বাদ যায়নি উপকূলীয় জেলা ভোলা এখানে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৷ গত এক সপ্তাহে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় ১০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। চরফ্যাসনে প্রথমবারের মতো হঠাৎ করেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সাধারণ কোন জ্বর হলেই মানুষ ছুটছেন হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে নেই ডেঙ্গু পরীক্ষার কোন সরঞ্জাম। তাই বাধ্য হয়ে রোগীরা ছুটছে বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে। তবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই বলছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচও ডাঃ সিরাজুল ইসলাম।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তরা হলেন- নূরাবাদের হান্নান (১৭), হাজারীগঞ্জের তানজিদ (১৫), আমিনাবাদের মহিউদ্দিন (২৯) ও আঃ রহিম (২০), কুলছুমবাগের মাহফুজ (৩৪) ও সালমা (২৩), আবদুল্লাহপুরের রিহান (৩), গজারিয়ার বাঁধন (১১)।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একই পরিবারের ১১ বছরের এক কিশোরী ও ৭ বছরের এক শিশু কে প্রাথমিক ভাবে ডেঙ্গু সনাক্ত করে ডাক্তার পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বিকেল থেকে চরফ্যাসন সরকারি হাসপাতাল ও সিটি হার্ট হাসপাতালে তানজিদ ও হান্নান নামের দুই ব্যক্তি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যে তাদের ঢাকায় রেফার করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাঃ এইচ এম নাহিদ।

ডাঃ নুর মোহাম্মদের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মহিউদ্দিন ও রহিম। ডাঃ হাসান মাহমুদের কাছে নুরাবাদ ও কুলছুমবাগের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হান্নান ও মাহফুজ বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসাধীন। তবে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে প্রাথমিকভাবে সুস্থ্য হয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত সালমা ও রিহান বাড়ী ফিরেছে।

চরফ্যাসন সরকারি হাসপাতালে ডাঃ সুব্রত রায়ের কাছে গত পরশু ডেঙ্গু আক্রান্ত গজারিয়ার বাঁধনসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও ২ শিশুর শরীরে ডেঙ্গুর লক্ষন দেখা দেওয়ায় তাদের স্বজনদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে ঢাকায় দ্রæত উন্নত চিকিৎসা নিতে।

এদিকে, চরফ্যাসন সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত করার পরীক্ষার ব্যবস্থা (কিট) না থাকায় রোগীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। আর রোগীর স্বজনরা রয়েছেন আতঙ্কের মধ্যে।

চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচও ডাঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, চরফ্যাসন হাসপাতাল ও প্রাইভেট কয়েকটি হাসপাতালে গত দুইদিনে ১০জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছি। ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের স্বজনদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার নেয়ার জন্য। ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত করার পরীক্ষার ব্যবস্থা (কিট) হাসপাতালে দুই এক দিনের মধ্যে পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।