ভোলায় স্কুল ছাত্রী গন ধর্ষণ মামলার ২ আসামি বন্দুক যুদ্ধে নিহত

বোরহানউদ্দিন নিউজ ডেক্স :
ভোলায় ঈদুল আযহার আগের রাতে হাতে মেহেদী দিয়ে ঈদের সাজ সাজতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। অবশেষে ধর্ষকদ্বয় পুলিশের সাথে গোলাগুলির সময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে ধন্যবাদ জানান,ভোলার পুলিশ বাহিনীকে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে আল আমিন (২৫) ও কামাল মিস্ত্রির ছেলে মঞ্জুর আলম (৩০)। সদর উপজেলায় রাজাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভোলা মডেল থানার ওসি ছগির মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজাপুর এলাকায় স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার আসামিদের ধরতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি নিহত হন।
গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চরসিফলি গ্রামের এক কৃষক ঈদ উপলক্ষে তার আদরের দুই মেয়ের জন্য বাজার থেকে মেহেদি কিনে আনেন।
রোববার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে তাদের বাবা গরু বিক্রি করার টাকা আনতে ভোলা শহরে যান। বাবা শহরে চলে যাওয়ার পর দুই বোন রাত ৮টার দিকে প্রতিবেশী দুঃসম্পর্কের আত্মীয় মাহফুজের স্ত্রীর কাছে হাতে মেহেদি দিয়ে সাজতে যায়। ওই সময় আগে থেকে অপেক্ষমাণ মাহফুজের ঘরের ভাড়াটিয়া আল আমিন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় আলমিনের স্ত্রী ঘরে ছিল না। এ সুযোগে ওই ছাত্রীকে আলামিন ও তার সহযোগী মঞ্জুর আলম হাত-পা ও মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গোপনাঙ্গে থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় পরে ওই ছাত্রীকে সোমবার ঈদের দিন বরিশালের শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় ( শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি আরো জানান, তাদের বিরুদ্ধে মাদকসহ থানায় একাধিক মামালা রয়েছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে।