১০ টাকার চাল বিতরণে অনিয়মের বিরুদ্ধে এমপি মুকুলের জেহাদ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক  ঃ
ভোলা -২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুল বলেন,বৈশ্বিক এক মহামারির নাম করোনা ভাইরাস।এর তান্ডবে লন্ডভন্ড আজ সারা বিশ্ব।বাংলাদেশে ও এর প্রভাব বিরাজমান।দূর্যোগময় এ সময়ে বিশ্ব মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মহীন দরিদ্র মানুষের জন্য খোলা বাজারে চাল বিক্রয়,খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকার চাল বিতরণ,বিনামূল্য খাদ্যশষ্য বিতরণ সহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। আমি চাই বিতরণ কার্যক্রমে জিরো টলারেন্স এ থাকব আমরা। অনিয়ম প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে গিয়ে জেহাদ ঘোষনা করেছেন আলী আজম মুকুল এমপি।তিনি আজ মঙ্গলবার বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে বলেন,যারা অনিয়ম করবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।কেউ যদি এসব চাল নিয়ে নয়- ছয় করে, আর সেই যদি আমার আপনজন ও হয় তাহলে সবার আগে তাকে আইনের আওতায় আনবেন। এমন নির্দেশনায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী আজ মাঠে নেমেছেন। যেখানেই অনিয়ম সেখানেই কঠোর অবস্থান। প্রতিটি বিতরণ পয়েন্টে একাধিক ট্যাগ অফিসারসহ পুলিশ মোতায়েন করেছেন তিনি। প্রতিটি ট্যাগ অফিসার ও ডিলারদের বলেন,কেবলমাত্র কার্ডধায়ী ব্যক্তিই চাল ক্রয় করতে পারবেন।কোন অবস্থায়ই বাহক গ্রহণযোগ্য নয়।বাহক অসুস্থ হলে প্রয়োজনে প্রশাসন কার্ডধায়ী ব্যক্তির বাড়িতে চাল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েকটি ইউনিয়নের বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সময় কাচিয়া ইউনিয়নের বৈদ্যের পুল এলাকার ডিলার ফয়সাল আহমেদ, কাচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন আব্দুল কাদের,দেউলা ইউনিয়নের তরিকুল ইসলাম, তালুকদার হাট এলাকার মেজবাউদ্দিন, দরুন বাজার এলাকার আলম মৃধা,মাঝির দোকান এলাকার অহিদ চৌধুরীর বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ সময় অনিয়মের অভিযোগে ডিলার ফয়সাল আহমেদ এর তালিকাভুক্ত ৫ টি কার্ড বাতিল করা হয়। ডিলার তরিকুল ইসলাম ও অহিদ চৌধুরীর কে বাহককে চাল দেওয়ার জন্য সর্তক করা হয়। এছাড়া সুবিধা ভোগীদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়ানো জন্য ডিলার ও ট্যাগ অফিসার ও দায়িত্বরত পুলিশ বাহিনী কে নির্দেশ প্রদান করা হয়।

নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী বলেন,কোন ডিলার অনিয়ম করলে তার ডিলারশীপ বাতিলসহ মামলা দায়ের করা হবে।
এদিকে বিকাল ৫ টায় নির্বাহী কর্মকর্তা, সমস্ত ট্যাগ অফিসার ও ডিলারদের নিয়ে মত বিনিময় করেন।এ সময় তিনি সবাই কে দিক নির্দেশনা দিয়ে বলেন,কোন অবস্থাতেই স্বামীর চাল স্ত্রী,স্ত্রীর চাল স্বামী কিংবা সন্তানরা গ্রহণ করতে পারবেন না।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক জানান,উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ২০ টি পয়েন্টে সাপ্তাহিক ৩ দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত চাল বিক্রি করা হয়।উপজেলায় মোট সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৬৬ জন।যাদেরকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল ৩০০ টাকায় প্রদান করা হয়।বছরে ৭ মাস এ চাল বিতরণ করা হবে বলে খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান।
ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল বলেন,কোন অবস্থাতেই অনিয়ম সহ্য করা হবে না।যে অনিয়ম করবে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।আমার আপন জন হলেও একই কথা প্রযোজ্য হবে।