অচেনা পৃথিবী

 

অচেনা পৃথিবী
সোহেলী নার্গিস

  1. চিরচেনা আমার পৃথিবী বদলে গেল।
    কেমন যেন অচেনা এক অমানিশার গহিনে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি। ভোরের আঁচলে সুগন্ধি
    নিয়ে সকালবেলার কোলাহল আর কানে আসে না। ফেরিওয়ালার হাকডাক, টুং টাং শব্দে গলির
    মানুষেরা কত রূপে , কত ঢঙে কথা কয়।
    দিনের শুরুতে আসমানি রঙ যখন আমার
    শিয়রের পাশে কাঁচের মাঝে প্রতিচ্ছবি এঁকে যায় আমি ঘুমঘুম চোখে নিশ্চুপে পর্দাটি মুঠি করে
    ভীরু পায়ে চারপাশে চেয়ে দেখি,
    সরু গলিটায় বারে বারে চোখ যায়।
    নিথর হয়ে পড়ে আছে
    নর্থ রোডের গালিচা। হৃদয়টি গুমরে মরে।
    নরম বাতাসে নিজেকে নতুন মনে হয়।
    ক্লান্ত হয়ে বারান্দার গ্রিলটা শক্ত করে ধরে
    বসে পড়ি কেদারায়।
    আমার গলাটা খুসখুস করছে,
    আমার গায়ে যেন একশত তিন ডিগ্রী জ্বর
    সারাদিন এমনই হয়, এমনই মনে হয়।
    গ্রিলের অক্টোপাসে আমি বন্দি।
    ধূসর চাঁদটা মিশে যাচ্ছে ঐ আকাশে, সূর্যটি ধেয়ে আসছে কাছে খুব কাছে। ঐ চাঁদ, ঐ সূর্য ,গোলাপ, বেলি সবই কদম ফুলের মতো
    আমার চোখে ভাসে। বর্ষার অজস্র কদম যেন ঘুরছে সারা পৃথিবী জুড়ে।