বোরহানউদ্দিন কাঁচা বাজারঃ নিয়ন্ত্রনে ৩ আড়তদার !

মনিরুজ্জামান ঃ

অনিয়ন্ত্রিত দাম ব্যবস্থায়  ঘুরপাক খাচ্ছে   বোরহানউদ্দিন উপজেলার  কাচাঁ   বাজার। নিযন্ত্রণে ৩ আড়তদার। পুঁজির স্বল্পতায় একজন একদিনে।অপর ২ জন দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে বাজার।তাদের দাবড়ানিতে মুক্ত বাজারের চাহিদা -যোগান অস্থির। ভারসাম্যহীন অবস্থায় চলছে। পাইকারি আর খুচরা বিক্রেতার রসি টানাটানিতে রুদ্বশ্বাস ভোক্তার ।পাইকারি বিক্রেতার বিক্রয় মূল্য অস্বীকার করছে খুচঁরা বিক্রেতা।খুচঁরা বিক্রেতারা জানান,তাদেরকে দাম বলে দেওয়া হয়। বিক্রয়ের রসিদ দেওয়া হয় না। এ সব কথার মারপ্যাচে মাইনকার চিপায় আমরা জনগন।পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিন অস্থির হয়ে উঠে এখানকার কাচাঁ বাজার।১০-১৫ টাকার শসা বিক্রয় হয় ৫০টাকা কেজি।১০ টাকার নিচে থাকা টমেটো বিক্রয় হয় ৩০ টাকায়।২০-২৫ টাকার লেবুর হালি বিক্রয় হয় ৫০ টাকায়। বেগুন ও গাজঁরের মূল্য ঠেকে শত টাকায়।এভাবেই চলতে থাকে অনিয়ন্ত্রিত বাজার দর।

২৭ মার্চ বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের অভিযোগে নয়ন,লোকমান কে ২০ হাজার টাকা করে এবং মনির মুন্সিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বুধবার সকালে সরেজমিনে পরিদর্শনে কাচাঁ বাজারে গেলে নাছির জানায়, পৌরবাজারে তার কোন পাইকার নেই। তিনি শসা ২৫ টাকা দরে বিক্রয় করছেন বলে জানান।তবে মনির মুন্সি জানান, পণ্যের মানের উপর দাম নির্ধারিত হয়। তারা জানান বুধবার ভোলা থেকে পটলের কেজি কিনা হয়েছে ৩০ টাকায়। আর বিক্রয় করা হয়েছে ৩৫ টাকায়।অবশ্য এসবের কোন রসিদ দেখাতে পারেনি।লেবুর ক্ষেত্রে তিনি বলেন,ছোট লেবু পাইকারি বিক্রয় করা হয়েছে হালি প্রতি ২০ টাকায় আর বড়টা ৩০ টাকায়।তবে কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা বলেছেন তারা ৩৫ টাকা দরে হালি কিনেন।রসিদ দেখতে চাইলে তারা বলেন,মাল ক্রয়ের পরের দিন অর্থাৎ কালেকশনের দিন রসিদ দেওয়া হয়। তবে অপর আড়তদার বাবুল পঞ্চায়েত বলেন,তিনি শসা ৩৫ টাকা দরে পাইকারি বিক্রিয় করেন।
তবে ফরিদ নামক একজন খুচরা বিক্রেতা জানান,লেবু গড়ে ৩০ টাকা দরে তারা মনির মুন্সি থেকে কিনেন।
তবে বাজারের বাইরে অবস্থানকারী এখন খুচরা বিক্রেতা মনির মুন্সির কাছ থেকে ৬ কেজি শসা ২৪০০ টাকায় কিনেন বলে রসিদ দেখান।
তবে এ ব্যবসায়ীগন আরও জানান,চরফ্যাশন থেকে যেদিন পণ্য বেশি আসে,সেদিন দাম কমে থাকে।তারা আরও জানান,কাচাঁ মালের দাম সময় সাপেক্ষে পরিবর্তন হয়ে থাকে।
৩ ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে কাচাঁ বাজার এমন অভিযোগ তারা অস্বীকার করেন।তারা বলেন এখানে কারো সাথে কারো মিল নাই।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী বলেন, সরকারি নির্দেশনার বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনে অবৈধ পথে হাঁটলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।