বোরহানউদ্দিনে ইউএনও’র অভিযানের পর কমছে আদার দাম

বোরহানউদ্দিনে ইউএনও’র অভিযানের পর কমলো আদার দাম
বোরহানউদ্দিন নিউজ ঃ
ক্রমবর্ধমান দামে,আদার ঝাঁজে অস্থির হয়ে উঠছিল বোরহানউদ্দিনের বাজার।৩৬০ টাকা কেজিতে আদা বিক্রয়ের কারণে বোরহানগঞ্জ বাজারের এক ব্যবসায়ী আটক হয়েছিল প্রশাসনের হাতে।এমন ঘটনায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী গত সপ্তাহে পৌর বাজারে অভিযানে নামেন। অতিরিক্ত মূল্যে পন্য বিক্রয়ের সত্যতা পেয়ে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন। সর্তক করে আসেন ব্যবসায়ীদের কে।
পরদিন সকালে বাজার ব্যবসায়ীদের সাথে
মতবিনিময় করেন নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি ব্যবসায়ীদের কথা ধৈর্য্য সহকারে শুনেন। ব্যবসায়ীগন এ সময় তাদের সমস্যা বিশেষ করে পরিবহন সমস্যার কথা বলেন।
পরে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,আপনারা ব্যবসা করেন। লাভ ও অবশ্যই করবেন। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ দূর্যোগের মধ্যে আছে।কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ।তারপর মাহে রমজান চলছে।আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ এই দূর্যোগ ও রমজানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আপনারা সহনীয় পর্যায়ে লাভ করবেন। ব্যবসায়ীগন বলেন, অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে নির্বাহী স্যারের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে।
বাজারের বড় আড়ৎদার আবুল কালাম,শাহজাহান সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, দূর্যোগের বিষয়টি মাথায় রেখে বৈঠকের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।
অভিযানের ২-৩ দিন আগে বোরহানউদ্দিন পৌর বাজারের বিভিন্ন দোকানে গিয়ে জানা যায় ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা। একই পণ্য ভিন্ন দোকানে ভিন্ন ভিন্ন দাম। আখি স্টোরে ৩২০ টাকা কেজি বললে ও বাবুল স্টোরে ৩১০ টাকা।এমরান স্টোরের কথা শুনে বেশ অবাক লাগল। তারা জানায়,৩০০ টাকা দরে কিনে ৩০০ টাকায় বিক্রয় করছেন।সুরেশ ও গ্রীণ সুপার স্টোরের মালিক জানান,তারা ৩২০ টাকা কেজিতে আদা বিক্রয় করছেন। আবার বোরহানগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা যায়,কেউ ৩৩০ টাকা দরে,আবার কেউ ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা দরে বিক্রয় করছেন।
তবে আড়ৎদার শাহজাহান জানান,তারা কেরালা আদা ২৫০ টাকা আর চায়না আদা ২৮০ দরে বিক্রয় করছেন।
২ মে আবার বাজার পরিদর্শনে গিয়ে মোটামুটি উল্টো চিত্র পাওয়া যায়।অধিকাংশ দোকানেই আদা ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।তবে একজন আড়তদার জানান,তারা চায়না (বড়টা) ২০০ টাকা দরে বিক্রয় করেন।তিনি বলেন নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযানে দাম কমছে।তিনি তার কর্মকান্ড কে সাধুবাদ জানান।
তবে কয়েকজন ক্রেতা ফলের বাজারে অভিযান চালানো প্রয়োজন বলে জানান।
উল্লেখ্য, নির্বাহী কর্মকর্তা এর আগে অভিযান ও ব্যবসায়ীদের সাথে মত বিনিময় করে,পিয়াঁজ ও চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন।