গলদা- বাগদা বানিজ্য চক্রের আস্তানায় ইউএনও’র অভিযান।আটক -১

বোরহানউদ্দিন নিউজ ঃ
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এবার গলদা- বাগদার বানিজ্য চক্রের মূল হোতার আস্তানায় হানা দিয়েছেন।ভোলা নৌ কন্টিনজেন্ট এর সহায়তায় শুক্রবার সকালে মেঘনার তীরবর্তী হাকিমুদ্দিন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন।অভিযান পরিচালনাকারী টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় অন্যতম ব্যবসায়ী ফরিদ দালাল।
এ সময় তার আস্তানা থেকে বাগদাদ গলদা পরিবহন কাজে ব্যবহত ৩৫ টি ড্রাম, ৩ টি পাতিল ও একটি পিক-আপ জব্দ করা হয়।আটক করা হয় পিক আপ চালক জুলহাস কে।আটককৃত জুলহাস ও পিকআপটি বোরহানউদ্দিন থানা হেফাজতে আছেন। এ সব তথ্য অভিযান পরিচালনাকারী টিম সূত্রে প্রাপ্ত। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ফরিদ দালাল কে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,উপকূলীয় এলাকায় বছরের সব সময়ই যে কোন প্রজাতির মাছের রেণু কিংবা ছোট মাছ আহরণ করা নিষিদ্ধ।
বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, প্রতি বছর মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বোরহানউদ্দিন উপজেলার মেঘনা এলাকায় একাধিক প্রভাবশালী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে গলদা বাগদার রেণু বানিজ্যে। এলাকার শিশু ও দরিদ্র কে দালালরা দাদন দিয়ে আগেই বুকিং দিয়ে রাখেন।ওই সমস্ত শিশু ও দরিদ্র লোকজনের দারিদ্র্যতার সুযোগে তারা বীরদর্পে চালিয়ে যায় অবৈধ এ ব্যবসা।দাদনদারের চাপ আর পেটের তাগিদে তারা বাধ্য হয়েই রেণু আহরোণ করেন।অনেক ক্ষেত্রেই দাদনদারগন তাদেরকে ন্যায্য দাম থেকেও বঞ্চিত করেন।স্বল্পমূল্যে ক্রয় করা এ সমস্ত রেণু তারা গোটা দক্ষিণাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকায় পাচার করেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ.এফ.এম নাজমুল সালেহীন জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজী নেতৃত্বে, নৌকন্টিনজেন্ট এর সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৩৫ টি ড্রাম, ৩টি পাতিল, একটি পিক আপ ও একজন কে আটক। সাথে ৩০০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে জাল গুলো আগুনে পুড়েিয়ে বিনষ্ট করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী জানান,অবৈধভাবে রেণু আহরোণের অপরাধে ফরিদ দালাল কে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।