অধ্যক্ষকের অনুপস্থিতিতে বেতন পাচ্ছেন না ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কতিপয় শিক্ষক- কর্মচারী।

স্টাফ রিপোর্টার ঃ

একদিকে করোনা পরিস্থিতি, অন্যদিকে মাহে রমজান। এই অবস্থায় বেতন-ভাতা তুলতে না পেরে মানবেতর জীবন-যাপন করার কথা জানালেন ভোলা পলিটেকনিক  ইনস্টিটিউটের ননটেক  শিক্ষক, মাস্টাররোল ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীগন। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কর্ম এলাকার না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি। এমন দাবি ভুক্তভোগীদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ননটেক শিক্ষক বলেন, “অধ্যক্ষের অনুপস্থিতির কারণে আমরা মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন তুলতে পারিনি । মে মাসের বেতন বোনাস তুলতে পাবর কিনা তাও জানিনা। বেতনের টাকা দিয়েই সংসার চলে। খুব কষ্টে আছি”। মাস্টার রোল ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অবস্থা আরো করুণ বলে জানান এ শিক্ষিক ।

জানা গেছে,২০মার্চ,২০২০ তারিখ থেকেই কর্মস্থলে নেই এ ভোলা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তাজুল ইসলাম। করোনার এ দুঃসময়ে সরকারি কর্মকর্তাদেরকে কর্মস্থলে থেকে সরকারি কাজে সহযোগীতা করার প্রজ্ঞাপন ও নির্দেশনা থাকলেও তিনি ২০ মার্চ থেকে রংপুরে নিজের বাড়িতে অবস্থান করছেন।এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন জটিলতা।
তবে অন্য একজন শিক্ষক জানান,৫ মনে তারিখের মধ্যে সকলে বেতন পাওয়ার কথা।

এ বিষয়ে জানতে রংপুরে অবস্থানরত ভোলা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, কোন মাসের বেতন বকেয়া নেই। আজকের মধ্যে (১১ মে) সবাই বেতন পাবে। তিনি  জানান, আরও বলেন,অভিযোগ সঠিক নয়, তিনি রংপুর থেকেই সব কিছু ব্যবস্থা করছেন।

এদিকে ভোলা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তাজুল ইসলামের অফিস সহায়ক মিজানুর রাহমান (যিনি বেতন-বিলের কাজ করেন) জানান, “অধ্যক্ষ স্যারের অনুপস্থিতির কারণে ২ মাসের বেতন দেওয়া সম্ভব হয় নি।তবে বেতন দেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি”।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারী মাসে বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী অনিয়মের অভিযোগ তাকে শোকজ করেন।

এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ বশির গাজী বলেন, ‘বেতন না পাওয়ার বিষয়ে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে দেশে এখন ক্রাইসিস মুহূর্ত চলছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিকে নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে হবে।