বোরহানউদ্দিনে ভেরিফিকেশন নামে টাকা দাবী,সংবাদকর্মীর সাথে অসদাচরণ

বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ

ভোলার বোরহানউদ্দিন থানার এস,আই শফিকুল ইসলাম পুলিশ হেফাজতে থাকা কুয়েত প্রবাসী হারুনের পরিবার থেকে ভেরফিকেশন এর নামে পাঁচ হাজার টাকা দাবী করার অভিযোগে উঠছে। এ প্রেক্ষিতে বোরহানউদ্দিন শাহবাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক এর সাথে অসদাচরণ করেন।
জানা যায়,কুয়েত পুলিশ হেফাজতে থাকা বড় মানিকা ইউনিয়নের জনৈক হারুনের ভেরিফিকেশনের দায়িত্ব পান ওই এসআই।
তিনি ভেরিফিকেশনের জন্য হারুনের অভিভাবকদের কাছে ৫ হাজার টাকা দাবী করেন। বিষয়টি সত্যতা জানতে দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি ও বোরহানউদ্দিন শাহবাজপুর প্রেস ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক তার সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে চান। এতে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তোমার কি দরকার? এরপর বলেন থানায় আসেন। এদিকে সাংবাদিকের সাথে এ ধরনের আচরণে ক্ষুদ্ধ সাংবাদিক সমাজ।

বড়মানিকা ১নং ওয়ার্ডের কুয়েত প্রবাসী হারুনের মা জানান, সোমবার এস.আই শফিকুল ইসলাম আমাদের বাড়ীতে আসে আমার ছেলের তদন্ত করতে। বিকালে কাগজ পত্র নিয়ে যেতে বলেন। দার দেনা করে দের হাজার টাকা নিয়ে গেলে কাগজও রাখেনি বলেন, কাগজ সহ ৫ হাজার টাকা নিয়ে মঙ্গলবার আসবা। বার বার দারোগা আমাদেরকে টাকা নিয়ে যেতে বলেন। আমি গরিব মানুষ। ছেলে ২ বছর ঋণ নিয়ে কুয়েত গেছে। এজেন্সি কুয়েত নিয়ে আমার ছেলের সাথে প্রতারণা করেছে। ওই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। ওর বাবা গত ৬ বছর মারা যায়। সংসারের বড় ছেলে হারুন। ও নাকি কুয়েত পুলিশ হেফাজতে আছে। আমি কোথায় টাকা পাব?
এদিকে বোরহানউদ্দিন শাহবাজপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের সাথে অসাদাচরন করায় বোরহানউদ্দিন সাংবাদিক বৃন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে।

এব্যাপার লালমোহন সার্কেল মো. রাসেলুর রহমান এ ঘটনাটি দুঃখ জনক উল্লেখ করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এব্যাপারে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।