স্টাফ রিপোর্টারঃ ভোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ফলে গাছের নিচে চাপা পড়ে এবং ট্রলার ডুবে ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ৷
আম্পানের প্রভাবে ঝড়ের সময় চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা এলাকায় গাছের নিচে চাপা পরে ছিদ্দিক ফকির (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ আইচা থানার ওসি হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অন্য দিকে মঝুচৌধুরীর ঘাট থেকে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে ভোলায় আসার সময় ৩০ জন যাত্রী নিয়ে ঝড় এবং ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে ডুবে যায় একটি ট্রলার ৷ এসময় রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা যান। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি বোরহানউদ্দিন উপজেলার মনিরাম এলাকায় বলে জানা গেছে। বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল হয়ে উঠে। জোয়ারের পানি কয়েক ফুট বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাধের বাইরের এবং বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে এছাড়াও অনেকের বাড়ি-ঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। মনপুরা ও চরফ্যাশনের কলাতলিরচর, চরনিজাম, ঢালচরসহ কয়েকটি চরে বেড়িবাধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, জেলা ২১টি বিচ্ছিন্ন দ্বীপচর থেকে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১৬ হাজার মানুষ ও ১ লাখ ৩৬ হাজার গবাদিপশুকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। এদের জন্য নগদ ৭ লাখ টাকা ও ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারনে জেলার পাকা বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং অনেক পুকুর পানিতে ডুবে যাওয়ায় মাছ চলে গেছে ৷
