ভোলায় মাকে কুপিয়ে যখম করলো পাষন্ড ছেলে

স্টাফ রিপোর্টারঃ ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামে নিজের গর্ভধারিণী মাকে পেটালেন বশির আহমেদ (২৮) নামের এক পাষণ্ড ছেলে।
২২ জুলাই দুপুরে রাজাপুর ৫নং ওয়ার্ডে আজিজুল বেপারী বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
জনম দুঃখী মা নুরজাহান বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ৫ মেয়ে ৪ ছেলে, বশির হলো দ্বিতীয়। এই বশির কিছু হলেই আমাকে এবং আমার স্বামী কে মারধর করে।
এই এলাকার সবার কাছে বিচার দিয়েছি তারা সবাই ওর (বশিরের) টাকা খেয়ে, আমার শালিশ আর করে না।
এই পর্যন্ত একাদিকবার হাসপাতালে গিয়েছি বশিরের হাতে মার খেয়ে।
সর্বশেষ গত ২২ জুলাই দুপুরে আমি জালা( ধানের চারা) খেতের পানি ছাড়তে গেলে, হঠাৎ বশির ঘর থেকে দা নিয়ে আমাকে কোপ দিতে চাইলে, আমি হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে, সেই কোপ আমার হাতে লাগে, পরে আমাকে আমার অন্য ছেলেরা ধরতে গেলেও বশির আবার রড নিয়ে আসে ওর বৌসহ, আমাকে হাসপাতালে নিলে সেখানেও আমি সুস্থ না হতে, আমার ছেলে লোকজন নিয়ে বলছে আমি নাকি সুস্থ, এই কথা বলে নাম কেটে দিয়েছে।
আমার ছেলের বিচার পুলিশ দারগা, নেতা কারো কাছেই পায় নাই, যেখানে যায় সবাই আমার ছেলের পক্ষে, আমার ছেলের বিচার চাই, এই কথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন জনমদুখিনী মা।
প্রতিবেশি খালেক মাঝি বলেন, বশিরের তার বাবা মাকে আজ নতুন মারে নাকি? এগুলো পুরান কথা, কে বিচার করবে ওর?
বাবা মা কে এই ভাবে পেটাবে নিজের সন্তান? আর এই সমাজ বিক্রি হবে বশিরের টাকার কাছে? যারা টাকায় বিক্রি হচ্ছে তারা ও কি তাহলে বাড়ীতে নিজের বাবা মায়ের সাথে এমন আচরণ করে? ভোলার পুলিশের উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত বশিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি আপনাদের সাথে দেখা করবো।
ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্রী রতন শীল বলেন. এই ঘটনা ঘটে থাকলে, মা লিখিত অভিযোগ দিলে, বশিরের হাত যত লম্বাই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।