হিজড়া কলির চোখে আনন্দ অশ্রু

আহমেদ মুনির,শিশির কুমার দে

কলি।তৃতীয় লিঙ্গের একজন মানুষ। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নে বসবাস।।সমাজের সবাই ওদেরকে ভিন্ন চোখে দেখেন।অন্যের অনুগ্রহে ওদের বেঁচে থাকা। সমাজের সবাই এড়িয়ে চলতে চায় ওদেরকে।
সোমবার সকালে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক প্রত্যন্ত এলাকার কলির দরজায় উপস্থিত। জেলা প্রশাসককে পেয়ে কলি আনন্দে আত্মহারা।বিশ্বাস হয় না তার। জেলার সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তি তার ঘরে। গৃহহীনদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বিশেষ উপহার নির্মাণধীন ঘর পরিদর্শনে আসেন। জেলা প্রশাসক কলির সাথে কথা বলেন।এ সময় কলি সোলার লাইট ও একটি টিউবওয়েল দাবী করেন।জেলা প্রশাসক, বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানায়,যাদের জমি আছে কিন্তু ঘর নাই।তাদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুজিব বর্ষে একটি পরিবার ও গৃহহীন থাকবে না এ ঘোষণা করেন।যার ধারাবাহিকতায় তৃতীয় পর্যায়ে ৩০টি ঘর গৃহহীনদের জন্য নির্মাণ করা হয়। যা পরিদর্শনে আজ জেলা প্রশাসক আসেন।
হিজড়া কলি বলেন,এতদিন আমার মাথা গোঁজার ব্যবস্থা ছিল না।সারা দিন রাস্তায় রাস্তায় থাকার পর রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম না।গরীবের আশ্রয়স্থল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় আজ থেকে আমি নিজ বাসায় শান্তিতে ঘুমাতে পারব।আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল , জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর দীর্ঘায়ূ ও মঙ্গল কামনা করছি। এ সময় আরও ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাহমুদুর রহমান,বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী, পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাগর হাওলাদার।