বোরহানউদ্দিনে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উদযাপিত

মনিরুজ্জামান
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উদযাপিত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উদ্যোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার তপতী চৌধুরীর নেতৃত্বে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সোমবার সকালে এক বর্ণাঢ্য রেলি বের হয়। রেলিটি পৌর বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমূহ প্রদক্ষিণ করেন। এবার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল এন্টিবায়োটিক ও অন্যান্য জীবাণুরোধী ঔষধের সতর্ক ব্যবহার।
রেলি শেষে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সভাপতিত্বে তার হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মশিউর রহমান সাদির সঞ্চালনায় সভায় এন্টিবায়োটিক ঔষধ গ্রহণ ও রেজিস্ট্যান্স এর ভয়াবহতা সম্পর্কে আলোচনা করেন ডাক্তার সাবেকুন নাহার। করণীয়তা কিংবা এর প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনা করেন ডাক্তার তাসলিমা আফরোজ খান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার তপতী চৌধুরী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বলেন, এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হলো এমন একটি অবস্থা যা সংঘটিত হয়, যখন কতিপয় ব্যাকটেরিয়া এন্টিবায়োটিকের আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকার সক্ষমতা অর্জন করে। এসব ব্যাকটেরিয়াকে বলা হয় এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ব্যাকটেরিয়া। এরা এন্টিবায়োটিক এর উপস্থিতিতে অভিযোজিত হয়ে যায়। যার কারণে নিজেদের স্বাভাবিক গতিতে বেড়ে উঠবে এবং বংশ বিস্তার করতে পারে। ফলে মানুষ বা পশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। তিনি আরো বলেন এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ঘটে ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএতে পরিবর্তন বা পরিব্যক্তির ফলে। যেমন দশটি ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে হয়তো আটটি সাধারণ। বাকী দুইটি এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। এ অবস্থায় এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হলে আটটি ব্যাকটেরিয়া মরে যাবে। বাকি দুটি ব্যাকটেরিয়া রেজিস্ট্যান্স থাকবে। এবং ওই দুটি ব্যাকটেরিয়া তাদের শারীরিক বৃদ্ধি ও বংশ বিস্তারের মাধ্যমে অসুস্থ ব্যক্তির রোগ কে অসহনীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে থাকবে। তাই এন্টিবায়োটিক রোগের ক্ষেত্রে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর ফারুক, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দেওয়ান আসিফ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।