বোরহানউদ্দিনে বসত ঘরে দুর্ধর্ষ চুরি

স্টাফ রিপোর্টার: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বসবাস করা মাওলানা মোঃ রিয়াজ মাহমুদের বসত ঘড়ে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে ৷
গত শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি ৷
রিযাজ মাহমুদ বলেন, পারিবারিক ঝামেলার কারণে চলতি মাসের ১ তারিখে বাসায় তালা দিয়ে ঢাকায় চলে যাই ৷ এরপর থেকে দোকান বন্ধ থাকায় দোকানের ম্যানেজার রাকিবকে আমার বসত দেখাশোনা করতে বলি ৷ সে প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালে দেখতে যায় ৷ গিয়ে দেখে ঘরের পিছনের দরজা খোলা ৷ ঘরে ঢুকে দেখে সকল মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পরে আছে ৷ আলমারীর ডয়ের ভাঙ্গা ও খোলা ৷ প্রয়োজনীয় কোন মালামাল নেই ৷ পরে সে আমাকে ফোন দিয়ে বললে ৷ পরের দিন দেশে ফিরে এসে দেখি, ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার,নগদ ২০ হাজার টাকা, পানির মটর, গ্যাস সিলেন্ডার, কাচের মালামাল, শাড়ী, কাপড় সহ অন্যান্য মালামাল নেই ৷
পরে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহ মৃধাকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি দেখার জন্য তার প্রতিনিধি হিসেবে ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য কালাম মীর সহ কয়েকজনকে পাঠান ৷ তারা সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন ৷
তিনি আরো জানান, আমার জন্ম স্থান পাশের উপজেলা লালমোহনের বদরপুর ইউনিয়নে ৷ মাদ্রাসায় চাকুরী ও স্থানীয় দরুন বাজারে ব্যাবসা করার সুবাদে ২০১৫ সালে ১৬ শতাংশ জমি কিনে বাড়ী করে এখানেই বসবাস করে আসছি ৷ এর আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি ৷ আমি বাড়ীতে না থাকার সুযোগে এমনটি ঘটেছে ৷ আমি দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবী জানাচ্ছি ৷
এদিকে তার দোকানের ম্যানেজার রাকিব বলেন, শনিবার সকালে আমি তার বাসা দেখাশোনা করতে আসি ৷ এসে দেখি ঘরের পিছনের দরজা খোলা ৷ ভিতরে ডুকে দেখি ঘরে থাকা বিভিন্ন মালামাল নেই চুরি হয়ে গেছে ৷ আমি তাৎক্ষনিক রিয়াজ মাহমুদকে ফোন দিয়ে বিষয়টি বললে করলে তিনি পরদিন রবিবার দেশে চলে আসেন ৷
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহ মৃধা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং তদন্ত করে দেখছি ৷ কে বা কারা এর সাথে জড়িত তা নিশ্চত হওয়া যায়নি ৷ এর সাথে জড়িতদের সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ৷