যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা

বোরহানউদ্দিন ( ভোলা) সংবাদদাতাঃ

ভোলার বোরহানউদ্দিনে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূ ইমা(১৯) কে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠছে স্বামী ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে। ওই বধূ উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাটামারা গ্রামের প্রবাসী সালাউদ্দিন এর মেয়ে। ২৭ ডিসেম্বর রাতে ভূক্তভোগীর বাড়ির পুকুর পাড়ে নির্জন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।মারাত্নক আহত ইমা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলে তার স্বজনরা জানান। এ ঘটনায় ২৮ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহার,ভুক্তভোগীর স্বজন,ও থানাসূত্র জানায়,৬/৭ মাস পূর্বে প্রতিবেশী মিলন আইট্টার ছেলে, মঞ্জু আইট্টা (২৫) সাথে ইমার বিয়ে হয়। যৌতুক ছাড়া এই বিবাহ মঞ্জুর বাবা মিলন আইট্টা ও মা আমেনা বেগম মেনে নেয়নি।যার কারণে

বিবাহের পর থেকে ইমা তার বাবার বাড়িতেই থাকতেন। স্বামী মঞ্জু প্রায়শই ইমার কাছে আসা যাওয়া করত। ঘটনার দিন স্বামী মঞ্জু ইমাদের বাড়িতে যায়।খাবার খেয়ে সকলে ঘুমিয়ে পড়লে

রাত অনুমান ১১ঃ৩০ ঘটিকায় মঞ্জু ইমাকে ডেকে ঘরের দক্ষিণ পাশে পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে ইমাকে তার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের আদায় করার কথা বলে। ইমা দিতে অস্বীকার করলে, মঞ্জু ইমার গায়ের ওড়না দ্বারা হাত-পা বেঁধে,মুখ চেপে ধরে মার ধর করে।একপর্যায়ে ইমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইমার গায়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়।ইমার ডাক চিৎকারে ইমার মা চাচী সহ অনেকে এসে উদ্ধার করে। আহত ইমাকে পরদিন বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঐ রাতে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি মামলা হয়েছে।

বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাজাহারুল আমিন বলেন,ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক এবং স্পর্শকাতর। অধিক গুরত্বের সাথে তদন্ত কার্যক্রম চলছে।জড়িতদের শীগ্রই গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করার জন্য অভিযান চলছে।
মনিরুজ্জামান
বোরহানউদ্দিন, ভোলা
০১৭১৫৯৫১৬০০
তাং ২৯-১২-২০