বোরহানউদ্দিনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা

মনিরুজ্জামান
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশের মধ্যে দিয়ে রবিবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভোলার বোরহানউদ্দিনে উদযাপিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। সকাল সাড়ে ৮ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতির জনকের ম্যুরালে প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ৭ ই মার্চের ঐতিহ্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পৌর মেয়র মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ সোয়াইব আহমাদ, মুক্তিযোদ্ধা জুলফিকার আলী প্রমুখ। সময় মেয়র এ বলেন,

আজঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা অবিস্মরণীয় গৌরব উজ্জ্বল একটি দিন। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক উত্তাল জনসমুদ্রে বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আদায়ের ন্যায্য দাবি তুলে ধরেন এ ভাষণের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের বয়স ৫০ বছর। সময়ের বিবর্তনে অনেক কিছুই কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। বিকৃতির নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্রের আবহে বদলে ফেলার চেষ্টা হয়েছে স্বাধীনতার অনেক ইতিহাস। কিন্তু এ ৫০ বছরে অনেক কিছুই বদলে গেলেও বদলানো যায়নি শুধু ২২ মিনিটের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ভাষণটি।

বিশ্বের মধ্যে এই একটি মাত্র ভাষণ, যা যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বেজে চলেছে কিন্তু ভাষণটির আবেদন এতটুকু আজো কমেনি। বরং যখনই প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই ঐতিহাসিক ভাষণটি শ্রবণ করেন, তখনই তাদের মানসপটে ভেসে ওঠে স্বাধীনতার গৌরবগাথা আন্দোলন-সংগ্রামের মুহূর্তগুলো, আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠে দেশপ্রেমের আদর্শে।
পরে অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।