বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ৩ লাখ লোকের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে ১৩ টি

মনিরুজ্জামান, ঃ
মেঘনা -তেঁতুলিয়ার তীরে দ্বীপ জেলা ভোলার অবস্থান। জেলার ২২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত বোরহানউদ্দিন উপজেলা। যার আয়তন ২৮৪.৬৭ বর্গ কিলোমিটার। ৯ টি ইউনিয়ন ও ১ টি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনার কালীন সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই পরিমাণ জনসংখ্যার বিপরীতে রয়েছে মাত্র ১৩ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার। করোনা আক্রান্ত রোগি ভর্তি হলে যা দিয়ে একদিন সার্পোট দেওয়া সম্ভব। খালি সিলিন্ডারগুলো পুনরায় অক্সিজেনপূর্ণ করতে হলে বরিশাল থেকে করতে হবে।যা একদিনে সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও জনবল এর ঘাটতি থাকলেও যে কোন পরিস্থিতি বিদ্যমান সম্পদ দ্বারা মোকাবেলা করতে হবে এমন দাবি স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার তপন চৌধুরীর। দ্বীপ জেলা হওয়ায় সংকটাপন্ন রোগি নিয়ে এ উপজেলা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কিংবা বিভাগীয় শহরে পৌঁছাও দুষ্কর। অন্য দিকে সময় সাপেক্ষ। করোনাকালীন যেকোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে উপর ওয়ালার একমাত্র ভরসা ।
রবিবার সকালে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানায় বক্তাগন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, উপজেলায় এ পর্যন্ত ২৫১ জন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে বর্তমানে ৫১ জন পজেটিভ আছে। যারা হোম করেন্টাইন এ আছে। সভায় অক্সিজেন সিলিন্ডার বৃদ্ধির জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায, এখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সহ মঞ্জুরীকৃত ৩০ টি পদের বিপরীতে ডাক্তার আছেন ১২জন। দশটি জুনিয়র কনসালটেন্ট সহ ১৮ প্রথম শ্রেণীর পদ শূন্য । রয়েছে ৭ জন সিনিয়র স্টাফ নাসের্র অভাব।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাজ্জাদ হোসেন বলেন,এখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই।বর্তমান পরিস্থিতিতে ডাক্তার ও নার্সদের ট্রেনিং এর অভাব রয়েছে।এখানে প্রত্যেক কর্মদিবসে রেপিড় এন্টিজেন্ট টেষ্ট হয়।নেগেটিভ আসলে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তপতী চৌধুরী জানান,শনিবার ১৫টি নমুনার মধ্যে ৮টি পজেটিভ আসছে। সে অনুসারে আক্রান্তের হার শতকরা ৫০ ভাগের উপরে।পূর্বে ৫টি করোনা বেড় ছিল।বর্তমানে ১০টি বৃদ্ধি করা হয়েছে।তিনি বলেন,বিদ্যমান সক্ষমতার দ্বারা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে।