গৃহহীনদের ঘরের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও ঋণ দেওয়া হবে’– জেলা প্রশাসক, ভোলা

মনিরুজ্জামান, ভোলা-

গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের স্বাবলম্বী করে তুলতে সরকারিভাবে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ ও ঋণসহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক ই এলাহী । বিভিন্ন এলাকার জমির বাজার মূল্য তুলনা করে তিনি বলেন,এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে ঘর পাওয়া আগে নিঃস্ব ছিলেন।ঘর পাওয়ার পর তিনি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।

আজ বরিবার দুপুরে বোরহানউদ্দিন উপজেলার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ে নির্মিত/নির্মানাধীন ১৪২ টি ঘরের কার্যক্রম পরিদর্শণের সময় এ সব কথা বলেন। তিনি নয়াবাজারের নিকটস্থ কুতুবা সাইট (৫৪টি ঘর), পাওয়ার প্লান্টের নিকটস্থ সাচড়া সাইট (২১ টি ঘর) এবং উদয়পুর বাজারের নিকটস্থ টবগী সাইট (৪০ টি ঘর) পরিদর্শণ করেন।

তিনি আরো বলেন, এখানে গ্রামীণ আবহে পারিবারিক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের পাশাপাশি সামাজিক সুবিধার যা যা প্রয়োজন, সবই এখানে রয়েছে।প্রতিটি পরিবার পানি ও বিদ্যুৎ সুবিদা পাবে। এখানে বসবাসকারীদের আত্মনির্ভরশীল হতে তাঁরা প্রশিক্ষণ সহ সরকারি ঋণ সুবিধাও পাবেন।সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলোকে উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য শেখ হাসিনা সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সমাজের মূলধারার মানুষের সাথে জলবায়ু উদ্বাস্তু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, তৃতীয় লিঙ্গ, ভিক্ষুক, বেদে, দলিত, হরিজনসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যও জমিসহ ঘর প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে তাদেরকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক নির্মানাধীন গৃহসমূহের নির্মান সামগ্রীর গুণগত মান, নির্বাচিত জমির উপযোগিতা এবং উপকারভোগী নির্বাচণ ইত্যাদি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করেন ও অনুপুঙ্খ দিকনির্দেশণা প্রদান করেন।

একটি গৃহ কীভাবে সামগ্রিক পারিবারিক কল্যাণে এবং সামাজিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হতে পারে তার অনন্য দৃষ্টান্ত ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন তথা দারিদ্র্য বিমোচনের এই নতুন পদ্ধতি ইতোমধ্যে ‘শেখ হাসিনা মডেল’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে
আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম,নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার গাইন,প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহেল হোসেন,উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ মিয়া,কাউন্সিলর সেলিম রেজা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটগন। এ সময় তিনি নির্বাহী কর্মকর্তা কে কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করা ও আসন্ন বর্ষার ঘরের মাটি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য প্রকল্প এলাকায় বৃক্ষরোপণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য বোরহানউদ্দিন উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ২৮ টি ঘর, দ্বিতীয় পর্যায় ১৬ টি ঘর তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২২ ঘর নির্মাণ করা হয়। তৃতীয় ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ের ১২০ টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।