বোরহানউদ্দিনে সৌদি খেজুর চাষে আগ্রহ বাড়ছে

বিনিউজ প্রতিবেদকঃ
ভোলার বোরহানউদ্দিনে এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে সৌদি আরবের আজোয়া, সুক্কারি, মরিয়ম, খালাছ, আম্বার  সহ বিভিন্ন প্রজাতির খেজুর। ফলন ভালো,কিংবা শখের কারণে অনেকে উৎসাহী হয়ে ঝুঁকছে এ দিকে।
সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়,২০২০ সালের শুরুর দিকে মেসার্স হাজী এগ্রোফার্ম ৪০ শতাংশ জমি নিয়ে টবগী ইউনিয়নে বাগানটি শুরু করেন। ওই ইউনিয়নের দালালপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মোঃ মোসলেম উদ্দিন ৷ খেজুরের পাশাপাশি তিনি চাষ করছেন উন্নত জাতের ড্রাগন ৷ দুই বছরের মাথায় ফল আসে। বাগানের খেজুর ও ড্রাগন দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক আসছেন ৷ তিনি জানান,
বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২৫০টি খেজুর ও ২১০ টি ড্রাগন গাছ রয়েছে ৷ ইতিমধ্যে সুক্কারি জাতের দুটি গাছে খেজুর ধরেছে ৷ ড্রাগনের প্রতিটা গাছেই রয়েছে ফল ৷ বাগান ছাড়া তারা বাড়ীর আঙ্গিনার নার্সারীতে আরো প্রায় ৩০০ খেজুরের চারা রয়েছে ৷ বয়স বেধে প্রতি পিচ চারা ২ হাজার থেকে ২৫শ টাকায় বিক্রি করছেন ৷ ৬০০ পিচ ড্রাগনের কাটিং আছে। প্রতি পিচ ৫০ টাকা করে বিক্রি করছেন ৷
মোসলেহ উদ্দিন জানান, তিনি দীর্ঘ দিন সৌদি আরবে ছিলেন ৷ তিন বছর পূর্বে, দেশে আসার সময় বিভিন্ন প্রজাতির খেজুরের বীজ নিয়ে আসেন ৷ বাড়ীর আঙ্গিনায় সঠিকভাবে বীজ রোপন করেন। চারা গজিয়ে গাছ বড় হতে শুরু করে ৷ এক পর্যায়ে তিনি খেজুরের বাগান করার পরিকল্পনা করেন ৷ উপযুক্ত জায়গা না পেয়ে পাশের কাচিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে কাচিয়া গ্রামে ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ৷ এর মধ্যে ১৬ শতাংশ জমিতে পুকুর ও ২৪ শতাংশ জমিতে খেজুরের চারা এবং উন্নত জাতের ড্রাগনের কাটিং রোপন করেন ৷
তিনি জানান, এটা একটা চেলেঞ্জিং প্রজেক্ট হলেও লাভ জনক ৷ শুরুতে এলাকার মানুষ হাসি ঠাট্টা করলেও ফলন আসার পর অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করছে ৷ জমি সংকটের কারনে বাগান বড় করতে পারছেন ৷ এক সময়ে তার বাগানের খেজুর ভোলা সহ সারাদেশে রপ্তানি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ৷
টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জাহাঙ্গীর জানান, তার বাগান দেখে আমার আগ্রহ জাগে।তার কাছ থেকে ২৩টি খেজুর চারা নিয়ে রোপন করি ৷
এদিকে মোসলেহ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, পরামর্শের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসে কয়েকবার যাওয়ার পর একবার এসে দেখে গেছেন ৷ পরে অনেকবার যোগাযোগ করেও তাদের থেকে কোন সহযোগীতা পাইনি ৷
উপজেলার কৃষি অফিসার এইচএম. সামীম জানান, আমাদের দেশে বানিজ্যিকভাবে আরব দেশের খেজুর চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এটা একটা ভালো উদ্যোগ ৷ ইতিমধ্যে একজন উপসহকারি বাগানটি পরিদর্শন করেছেন ৷ আমিও আগামী সপ্তাহে তার বাগানটি পরিদর্শন করবো। খেজুর চাষীদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগীতার করবো ৷