সফল সবজি চাষি সাইফুল বিডিআর

মনিরুজ্জামান ঃ

সাইফুল ইসলাম। এলাকায় সমধিক পরিচিত সাইফুল বিডিআর নামে।এক সময় বিডিআর এ চাকুরী করতেন।পেনশনে এসে শুরু করেন নির্মাণ সামগ্রিক ব্যবসা। হঠাৎ স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।শুরু হয় জীবন – মরণের যুদ্ধ। যুদ্ধের রসদ জোগাতে শেষ হয় তার মূলধন। অনেকটা অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু হয়ে যায় সে।জীবনের তাগিদে পরিবর্তন হয় পেশার। পরপর ২ বার উপজেলা বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। এ সময় ওই সংস্থার কিছু পতিত জমি ও একটি পুকুর লিজ নিয়ে শুরু করেন উৎপাদন কর্মকাণ্ড। পতিত জমিকে চাষযোগ্য করে তাতে মৌসুম অনুসারে করলা,লাউ,সিম,পেঁপে, আরকি, বরবরি,কুমড়া, রেখা চাষ শুরু করেন।শ্রম নিবিড় উৎপাদনে আসে বেশ সফলতা।
শনিবার বিকালে(২৩-৭-২২) উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতর সরেজমিনে পরিদর্শনে কথা হয় সাইফুল বিডিআরের সাথে। ঘুরে ঘুরে দেখান তা ১০ শতাংশ জমির রেখার খামার।সুনিপুণ ভাবে জাল দিয়ে মাচা তৈরি করা হয়। মাচার উপর আশ্রয় নিচ্ছে গাছগুলো।নিচ দিক দিয়ে ঝুলছে সবজি রেখা।দেখতে খুব সুন্দর।মনে হয় বাতাসে দোল খাচ্ছে। এ সময় তিনি জানান,উপকরণ খরচ দিন দিন বাড়ছে।অন্যদিকে অসম বাজার ব্যবস্থা আর মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্মে তারা যথাযথ মূল্য পাচ্ছেন না।প্রতি কেজি রেখা বাজারে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রিয় হলে ও উৎপাদনকারগন কেজি প্রতি ২০ টাকা পাচ্ছেন। এরপর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পার্শ্বে ধুন্দুল খেতে যাই।মাচার নিচে ধুন্দুল ঝুলছে। সিম ক্ষেত পরিচর্যা করছে দুজন শ্রমিক। আগাম শিম বাজারে আনার জন্য এ প্রচেষ্টা।তিনি বলেন, প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে উৎপাদনকারীর চেয়ে মধ্যস্বত্বভোগী বেশি লাভ করেন। এজন্য অনেকেই চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।তিনি আপেক্ষক করে বলেন,বছরের সব সময় তিনি উপজেলা কম্পাউন্ডে উৎপাদন করছেন। সবাই দেখছেন।দেখছেন না কৃষি বিভাগ।এমনকি এ পর্যন্ত সরকারি কোন সহযোগিতা তিনি পাননি।তিনি বলেন,সবজি চাষ করে ভালো আছি।সুষম বাজার ব্যবস্থা কিংবা উপকরণ সহযোগিতা পেলে আরও লাভবান হওয়া সম্ভব।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফিরোজ আলম বলেন,সাইফুল বিডিআর নিয়মিত সবজি চাষ করেন। আগামীতে তার বিষয়টি আমরা খেয়াল রাখবো।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এইচএম শামীম বলেন,একজন চাষী হিসেবে তিনি অবশ্যই সেবা ও পরামর্শ পাবেন। আওতার মধ্যে থাকলে তিনি সুযোগ-সুবিধা ও পাবেন।