কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০টাকা

মনিরুজ্জামান

অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে কাঁচা মরিচের বাজার। ভোলার বোরহানউদ্দিনে মাত্র ৩ দিনের (৩-৮-২২) ব্যবধানে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ১৭০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ কেজিতে বেড়েছে ৮০থেকে ৯০টাকা। বর্তমানে খুচরা বাজারে কাচা মরিচ বিক্রয় হচ্ছে ৩০০টাকা দরে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক দিন আগে তীব্র গরম ও সম্প্রতি দুই/তিন দিনের বৃষ্টির কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে মরিচের। এ কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।তবে অন্য একটি সূত্র বলেন,এখানে যোগসাজশে একজন আড়তদার কাঁচা মরিচ বিক্রয়ের কারণে দাম বাড়ছে।

শনিবার (৬-৮-২২)সকালে বোরহানউদ্দিন পৌর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। বাজারে খুচরায় ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনতে লাগছে ৭৫ টাকা। সে হিসাবে কেজি প্রতি দাম পড়ছে ৩০০ টাকা। ৩দিন আগেও ২০০টাকার নিচে ছিল কাঁচা মরিচের দাম।
খুচরা বিক্রেতা মাকসুদ,রিয়াজ,দুলাল,শফিক,সহ বেশ কয়েকজন জানান,আমরা ২৫০ টাকায় কাচাঁ মরিচ কিনি।ভোক্তাদের নিকট ৩০০ বা তার চেয়ে একটু কম দামে বেঁচি।আমরা এক পাল্লায় কিনি।তারপর ১০০,২০০ গ্রাম করে বেচিঁ।এখানে আমাদের ঘাটতি আছে।তাছাড়া কেজিতে কিছু পচেঁ যায়।সবাই বলেন,আমরা নীরব স্টোরের নীরব এর কাছ থেকে পাইকারি ২৫০ টাকা কেজি ধরে মরিচ কিনছি।
তবে নীরব জানায়,বরিশাল মোকাম থেকে আমি ২২১টাকা কেজি ধরে মরিচ কিনছি।তারপর পরিবহন খরচ।ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি না হওয়ার কারণে সরবরাহ কমে যাচ্ছে। বরিশাল আড়তগুলো থেকে আমরা যে দামে মরিচ কিনছি, সে অনুসারে বিক্রয় করছি।

খুচরা বিক্রতা মাকসুদ বলেন,৩দিন আগে ১৬০/১৭০ টাকা করে পাইকারি কিনে ২০০টাকা করে খুচরা বিক্রয় করি।

ভোক্তা তৌফিকুল ইসলাম বলেন,পরশুদিন আমি ২০০টাকায় ১কেজি কাচাঁ মরিচ ক্রয় করি।আজ শুনছি ৩০০টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।

বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা গৃহবধূ হাফসা বলেন, প্রতিদিন নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। দু’দিন আগে কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ২০০টাকা। আজ কিনতে হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সেলিম নামক এক রিকসা চালক ২০ টাকার মরিচ কিনতে এসে, না কিন চলে যান।
বাজার নিয়মিত মনিটরিং না হওয়ার কারণেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছামতো দাম বৃদ্ধি করছে বলে অভিযোগ করেন ভোক্তগন। 

বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি অফিসার এইচএম শামীম জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকা,বৃষ্টি ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় এ সমস্যা হতে পারে।কৃষি বিপণন বিভাগের বিষয়টি মনিটরিং করা উচিত।

বোরহানউদ্দিন উপজেলানির্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, বাজারের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য মনিটরিং কার্যক্রম জোড়দার করা হবে।