বোরহানউদ্দিনে ১দিনে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত- ২৫

মনিরুজ্জামান,
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সর্বত্র এখন কুকুর আতঙ্ক। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা থেকে পাগলা কুকুরের কামড়ে অনেক মানুষের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার এক দিনে কুকুরের কামড়ে ২৫ জনকে আহত করেছে। এমন তথ্য হাসপাতাল সহ বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত।

এদিকে বেওয়ারিশ এসব কুকুর নিধনে কোনো উদ্যোগ না থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। তাছাড়া স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন-সুবিধা না থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তিরাও চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

বোরহানউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্থানীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড পক্ষিয়া, সাচড়া,ও দেউলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে একের পর এক মানুষকে পাগলা কুকুর কামড় দেয়ায় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
বোরহানউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান,শুক্রবার সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ২০ জন কুকুরে কামড়ানো রোগি হাসপাতালে আসেন। কুকুরের কামড়ে আহতরা হচ্ছেন- পৌরসভার সুমাইয়া(৮), সৌনক দাস(৮) সাকিব(১৫), ইয়াসমিন (৩৫) মাহিম(১৪) রেদোয়ান (৫) আসমা(২৫), সজিব(১৭), রবিউল(৪), শামিমা (১২), সুমাইয়া(১২) ইউনিয়নের হলেন শাহাজাহান তালুকদার,নাসিমা বেগম(৪০), ইয়াসিন (৫), নাইম(১৩) মোবারক,(২৯) রফিকুল (৩০)। তিনি আরো জানান, হাসপাতলে কোন ভ্যাকসিন নেই। ব্যক্তিগতভাবে কিনে এদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বোরহানউদ্দিনের ভ্যাকসিন না থাকায় আক্রান্ত কয়েকজন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ায় তাদের নাম জানা যায়নি।


স্থানীয় হাওলাদার মার্কেটের ব্যবসায়ী মজিবল হক জানান, পৌর এলাকায় দলবদ্ধ কুকুর দৌড়াদৌড়ি করছে। কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। আমার দেখা শিশুসহ ৪ জনকে কুকুরে কামড়ে আহত করেছে।
পৌর ২ নং ওয়ার্ডের দর্জি সোহেল জানান, শুক্রবার ওই ওয়ার্ডে কয়েকজনকে কুকুরে কামড়িয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলা সড়কের পথচারীরা জানান, উপজেলা সড়কে দলবদ্ধ কুকুর রাস্তায় শুয়ে থাকে। রাতে বাসায় যাওয়ার সময় ওই কুকুর গুলো মানুষকে ধাওয়া করে কামড় দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে কুকুর আতংকে রয়েছে পৌর এলাকার মানুষ।
পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ সোহাগের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে পৌরসভা থেকে কুকুর মারা হত। বর্তমানে কুকুর মারা নিষিদ্ধ।
কুকুরের কামড়ে আহত আসমা,মোবারক,ইয়াসমিন বলেন, কুকুরে কামড়ের পর তারা ভ্যাকসিনের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। কিন্তু ভ্যাকসিন পাননি। বাধ্য হয়ে ভ্যাকসিন কিনেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মশিউর রহমান সাদী বলেন, আপাতত বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেই। আক্রান্তদের ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। খুব শীঘ্রই ভ্যাকসিন চলে আসবে।