স্বস্তির বৃষ্টিতে কৃষকের মুখে হাসি

মনিরুজ্জামান,
তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি দিয়ে অবশেষে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নামল স্বস্তির বৃষ্টি। খরতাপের দগ্ধ জীবনে বৃষ্টিতে স্বস্তি মিলেছে কৃষকদের। পানির অভাবে বেশ কিছুদিন আমন চাষিগন বিপাকে ছিলেন।রবিবার থেকে মুষলধারার বৃষ্টিতে আমন খেতের সাথে আন্দলিত হয় চাষীর মন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিস্মচাপের প্রভাব থাকায় রবিবার(১১সেপ্টেম্বর) থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত বহু দিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভিজিয়ে গেল গোটা দ্বীপজেলার ফসলি জমি।
দীর্ঘদিন তাপপ্রবাহ থাকার পর এই বৃষ্টির ছোঁয়ায় মুহূর্তেই মেতে উঠেন কৃষকরা। তীব্র রোদের জ্বালা জুড়াতে অনেককেই দেখা গেছে বৃষ্টিতে ভিজতে। এ বৃষ্টির ফলে রোপা আমন,শীতকালীন শাকসবজি, ও অন্যান্য ফলের ব্যাপক উপকার হবে বলে কৃষকদের মনে উল্লাস।
কুতুবা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের চাষি অহিদ সর্দ্দার জানান, মোতাহার ,সাচড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বর্গাচাষি হরজন আলী( ৫৫) , টবগী ইউনিয়নের নুর হোসেন হাওলাদার,কাচিয়া ইউনিয়নের উত্তম কুমার দাস,পক্ষিয়া ইউনিয়নের নাছির,হাবিবুল্যাহ জানান, সাচড়া ৬ নং ওয়ার্ডের বাথান বাড়ির কৃষক শহিদুল মীর,জানান ,বৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ আমাদের অনেক উপকার করেছেন।হঠাৎ এই বৃষ্টিতে আমনের জমিতে অনেক কম সার লাগবে।সারের দাম বাড়ায় সমস্যা হয়েছে।এখন সেই সমস্যা দুর হলো। আমাদের খরচ কমলো।এতদিন পানির অভাবে আমন চাষ করতে পারিনি,সেই সমস্যা ও দুর হলো।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,চলতি বছরে আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে উপশী এবং ২ হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে ¯স্থানীয় জাতের আমন আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।লক্ষ্যপূরণে কৃষকরা বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন।লক্ষ্যপূরণে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষিবিভাগ।
বোরহানউদ্দিন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান রনি,খায়রুল আলম মুন্সি বলেন, উচু জমিন আমন কৃষকরা বৃষ্টির অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন। সময়মতো স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ায় আমন ধান, শাকসবজি ,লাউ,মিষ্টি কুমড়া,করল্লা,পেঁপে চাষীদের ব্যাপক উপকার হবে।কৃষকদের জমিতে দ্ওেয়া সার পানির অভাবে মিশ্রিত হয়নি।এখন সে সমস্যা থাকলো না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম শামীম জানান, এ সময়ের বৃষ্টির জন্য কৃষকরা অপেক্ষায় ছিলেন। বৃষ্টির পানিতে ইউরিয়া থাকে।তাই আমনের জন্য খুবই ভালো হয়েছে।