লাবিবের নৌ-দুর্ঘটনা প্রতিরোধী ডিভাইসের প্রদর্শনী নিল বিআইডব্লিউটিএ

মনিরুজ্জামান,
ভোলার বোরহানউদ্দিনের -ক্ষুদে বিজ্ঞানী মাহির আশহাব লাবিবের নৌ-দুর্ঘটনা প্রতিরোধী ডিভাইস দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা।সম্ভাবনাময়ী সেই ডিভাইসের প্রদর্শনী নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক এনজিপি, এনডিসি্, এনসিসি, পিএসসি-এর সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠানটির ৩০/৩৫ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এই প্রদর্শনী করেন লাবিব। এসময় তার এই উদ্ভাবনকে ইতিবাচক হিসেবে মত প্রদান করেন বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা।

মাহির আশহাব লাবিবের বাবা মোস্তফা কামাল জানান, তার ছেলে বোরহানউদ্দিন উপজেলার আব্দুল জব্বার কলেজের ছাত্র লাবিবের ডিভাইসটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে গ্রহন করেন বিআইডব্লিউটিএ।
লাবিবের উদ্ভাবন ‘Digitalized BIWTA -A Life Protective Device for Passenger Vessel’ প্রকল্পটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কতৃপক্ষ’ এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হয়। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের লিখিত আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১১টায় ঢাকা সদর দপ্তরে বিআইডব্লিউটি এর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে তাদের টেকনিক্যাল কমিটি এর কর্মকর্তাসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রকল্পটি উপস্থাপন করেন লাবিব।ডিভাইসটি বাস্তবায়নের জন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা শামসুল আরেফীনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি অচিরেই কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানানো হয়েছে। এটি বাস্তবায়নের প্রথম পর্যায় হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।


তাঁর উদ্ভাবিত ডিভাইসের কার্কারিতা বর্ণনা করতে গিয়ে এ খুদে বিজ্ঞানী বলেন, এটি এমন একটি যন্ত্র যা যাত্রীবাহী লঞ্চের ভেতরে প্রবেশ পথ ও বির্গমন পথে লাগানো থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লঞ্চের ভিতরে প্রবেশকারি যাত্রী ও একইসাথে লঞ্চ থেকে বের হওয়া যাত্রীর সংখ্যা আলদা আলাদাভাবে ডিসপ্লেতে দেখাতে থকে। যদি মোট যাত্রী সংখ্যা উক্ত নৌ-যানে BIWTA কর্তৃক নির্ধারিত সর্বোচ্চ যাত্রী ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশী হয় তবে তা সনাক্ত করে তৎক্ষণাৎ উচ্চশব্দে সাইরেন বাজিয়ে নৌ-যানে অবস্থানরত যাত্রী, নৌ-যানের চালক এবং নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ তথা BIWTA এর কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক করবে। যতক্ষন পর্যন্ত যাত্রীধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নৌযানের অভ্যন্তরে থাকবে ততক্ষণ সাইরেন বাজতে থাকবে। যাত্রী সংখ্যা নির্ধারিত মাত্রার নিচে আসলে কেবল তখনই সাইরেন বন্ধ হবে।
এ সময় বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান লাবিবের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।
এই কৃতি শিক্ষার্থী ও খুদে বিজ্ঞানী মাহির আশহাব লাবিব এ কলেজেরই কৃশিশিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক এ, এইচ, এম, মোস্তফা কামাল এর একমাত্র পুত্র। তাঁর মা ইয়াছমীন আক্তার একজন গৃহিনী।
তাঁর এ আবিষ্কারে খুশি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, “আত্যন্ত মেধবী এবং বিনয়ী এ কৃতি শিক্ষার্থীর বিজ্ঞান বিষয়ক আবিষ্কার ও  অর্জনে আমরা খুশি।