মোবাইল নেটওয়ার্কিংয়ের আওতায় আসছে বোরহানউদ্দিন উদ্দিনের ১০০ ট্রলার

মনিরুজ্জামান
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মেঘনা- তেতুঁলিয়ার উপকূলবর্তী এলাকার জেলেদের সুরক্ষায় প্রথম বারের  মতো চালু হতে যাচ্ছে গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন।যাকে সংক্ষেপে বলা হয় জিএসএম। এটি এক ধরনের ডিজিটাল তারবিহীন সেলুলার বা মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ নেটওয়ার্কিং সিস্টেম চালু হলে দুর্যোগের সতর্কবার্তা, ঝড়ের পূর্বাভাস সম্পর্কে জেলেদের আগাম সতর্ক করা যাবে। যারা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান, তারা এ সুযোগ পাচ্ছেন।

বোরহানউদ্দিন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আলী আহমেদ আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,বোরহানউদ্দিনে সমুদ্রগামী ট্রলারের সংখ্যা প্রায় ৭হাজার ৬৫০ জন। এ মধ্যে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় প্রথম ধাপে ১০০টি, ট্রলারে এ নেটওয়ার্কিং সুবিধা দেওয়া হবে। যার কাজ ৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে।তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট রেডিও তরংঙ্গে একই সাথে আটটি কলের সুবিধা নিশ্চিত করা যায়, তবে, অর্ধ-দ্রূতি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্ব্বোচ্চ ১৬ টি পর্যন্ত কল করা যায় ।

জানা গেছে, ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্যোগের মৌসুম। এসময়ে নদী ও সাগর উত্তাল থাকায় জন্য ডেঞ্জার জোন বা বিপজ্জনক মৌসুম হিসেবে চিহ্নিত করেছে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর। প্রতি বছরই এ মৌসুমে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, সাগরে গভীর নিম্নচাপসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়। অনেক সময় দুর্যোগের সতর্কবার্তা পৌঁছায় না জেলেদের কাছে। যে কারণে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও জেলেরা নদী বা সমুদ্রে মাছ শিকারে যান। তখন ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের প্রাণ হারাতে হয়। তাই উপকূলের সমুদ্রগামী জেলেদের সুরক্ষায় এবং তাদের কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছাতে জিএসএম সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
এ কর্মকর্তা আরও জানান, জিএসএম সিস্টেম চালু হলে জেলেদের ঝড়ের পূর্বাভাস জানানো যাবে। জেলেদের অবস্থান ও নির্ণয় করা যাবে। এ সুবিদায় জেলেরা দুর্যোগের সময় নিরাপদে অবস্থান করতে পারবেন। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা যাবে।