ভোলা জেলার লালমোহনে উপজেলা ভিত্তিক এফএমসি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত ৷

ভোলা জেলার লালমোহনে উপজেলা ভিত্তিক এফএমসি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত ৷

ভোলা প্রতিনিধিঃ ইউএসআইডির অর্থায়নে ইকোফিশ বাংলাদেশ’র আয়োজনে কোস্ট ট্রাস্টের বাস্তবায়নে নদীর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইলিশ সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি, টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত এবং সহ-ব্যবস্থাপনা সংগঠনের যোগোযোগ ও সমন্বয় বৃদ্ধি করতে ভোলার লালমোহনে উপজেলা ভিত্তিক মৎস্য ব্যবস্থাপনা কমিটি (FMC) কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০.৩০ মিনিটে বোরহানউদ্দিন, লালমোহন এবং তজুমদ্দিন উপজেলার এফএমসি কংগ্রেস কমিটির নেতৃবৃন্দেরকে নিয়ে লালমোহন উপজেলার হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম.আজহারুল ইসলাম ৷
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবির, ওয়ার্ল্ড ফিশের গবেষণা সহকারী অংকুর মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুদ্বীপ্ত মীশ্র, সহকারি মৎস কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস, এবং জেলা খামার ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন ৷
উক্ত সভায় ইকোফিশ প্রকল্প,কোস্ট ট্রাস্টের সহ-সমন্বয়কারী মো. সোহেল মাহমুদ শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন, এসময় বিভিন্ন ইউনিয়নের ইমাম, শিক্ষক, মৎস্যজীবী ও ইউপি সদস্য ও নারী নেত্রীবৃন্ধ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সভায় সার্বিক সহায়তায় ছিলেন, মোঃ নোমান শরীফ ও সবুজ চন্দ্র দে, আব্দুল্লাহ, মমিন উদ্দিন ৷
এ সময় বক্তারা বলেন, ভোলায় জেলেদের নদীর বৈচিত্র্য সম্পর্কে ও ইলিশের বিষয়ে অবহিত করতে ইকোফিশ সব সময় কাজ করছে। বর্তমানে ভোলার জেলেরা এ সম্পর্কে সর্তক রয়েছে। তাই ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর জেলেরা নদী থেকে সুফল পাচ্ছে। ইকোফিশ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলে পরিবারে বিকল্প কর্ম সংস্থান তৈরী, নদীর পরিবেশ রক্ষা, জলবায়ুর ক্ষতিকারক প্রভাব মোকাবেলায় সাথে টিকে থাকা, জেলেদের মৌলিক ও মানবিক চাহিদা পূরণে সরকারী ও বেসরকারী সেবা সমূহ জেলেদের দ্বারগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষে, কর্ম এলাকার প্রতিটি গ্রামে মৎস্য ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছে ২ বছর আগে ।গ্রামের কমিটিগুলো কিভাবে কাজ করছে, অর্জন সমূহ চিহ্নত করণ ও পরবর্তী করণীয় নির্ণয় করা হয়।
সভাপতি বলেন, আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষার জন্য সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ,পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরন অথবা বিক্রয় সম্পূর্ন নিষিদ্ধ ও দন্ডনীয় অপরাধ ৷ পাশাপাশি এবিষয়ে এফএমসি কমিটিকে দায়িত্ব প্রদান করেন৷